Friday, 7 October 2016

প্রাচীন উপ-মহাদেশে শল্যতন্ত্র (সার্জারী) ও শল্যবিদ সুশ্রুত



হিপো ক্রেটিসকে চিকিৎসা শাস্ত্রের জনক বলা হয়, কিন্ত্র এর প্রায় দেড়শত বছর আগে তথা খ্রী.পূ.ষষ্ঠ শতকে শুশ্রুতের বিচরণ এবং তাঁর গ্রন্থ শুশ্রুত সংহিতাও হিপোক্রেটিসের আগের রচনা। গঙ্গা নদীর তীরে বেনারস ভারতের প্রাচীন নগরী, এটা পরবর্তীতে বৌদ্ধ ধর্ম এবং আয়ুর্বেদের পীঠস্থান। ভারতের সুশ্রুতের অনুসারীদের বলা হতো সৌশ্রুত, এদের অন্ততঃ ছয় বছর পড়াশুনা করতে হতো এবং তারপরে ট্রেনিং শুরুর আগে তাদেরকে রোগীর চিকিৎসা বিষয়ে শপথ নিতে হতো, হিপোক্রেটিসের শপথের সঙ্গে যার সাজুয্য খুঁজে পাওয়া যায়। এসব ঘটনা আজ থেকে অন্ততঃ ছাব্বিশ শত বছর আগের। সুশ্রুত সংহিতা তাঁর সময়ের সব চাইতে প্রাগ্রসর সার্জিকেল গ্রন্থ। সুশ্রুত সংহিতায় বর্ণিত বহু অধ্যায় বর্তমান যুগেও প্রাসঙ্গিক। এ সংহিতায় শুধু শল্য চিকিৎসা নয় , বরং এতে রয়েছে স্ত্রী রোগ বিদ্যার এবং মেডিসিন বিদ্যার নানা বিষয়। শুশ্রুত মনে করতেন একজন পরিপূর্ণ চিকিৎসকের মেডিসিন ও সার্জারীর উভয় ক্ষেত্রের জ্ঞান আবশ্যক, অন্যথায় চিকিৎসক হয়ে উঠবে “এক পাখাওয়ালা পাখির মতো”। তাঁর মতে, নিজের ক্ষেত্রে ভালো চিকিৎসক হতে চাইলে অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় ও ক্ষেত্র সমূহও তাকে ভালো জানতে হবে।
হরিদ্বারের ‘পতঞ্জলি যোগপীঠ’ ইনষ্টিটিউটে প্রাচীন শল্যবিদ সুশ্রুতের যে মূর্ত্তি আছে তার পার্শ্বস্থিত একটি শিলালিপিতে খ্রী পূ. ১৫০০ অব্দকে তাঁর জীবৎকাল হিসেবে উল্লেখিত হয়েছে, তাঁকে ভারতীয় ‘শল্য চিকিৎসার জনক’ এবং সুশ্রুত সংহিতাকে ‘চিকিৎসা বিজ্ঞানের শল্য চিকিৎসার সর্বোৎকৃষ্ট এবং বিরল গ্রন্থ’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সুশ্রুতকে (মানেÑখুব বিখ্যাত) এই গ্রন্থের রচয়িতা বলে মনে করা হয়। সুশ্রুত কেরেলা’র লোক ছিলেন, তবে তাঁর কর্মকা- ছিল বেনারস ভিত্তিক। কারও কারও মতে তাঁর কর্মকাল ছিল খৃঃ পূঃ ৬ষ্ঠ শতকের ঘটনা। ৪র্থ বা ৫ম খ্রীষ্টিয় শতকে আবিষ্কৃত ‘বাওয়ার পান্ডুলিপি’Ñতে সুশ্রুতের নামের উল্লেখ পাওয়া যায়, যেখানে তাঁকে হিমালয়ে বসবাসরত দশজন অন্যতম ঋষির একজন হিসেবে বর্ণনা করা হয়। পরবর্তীতে ঋষি বিশ্বমিত্রের পুত্র কিংবা ধন্বন্তরীর বংশধর উল্লেখে তাঁকে পৌরাণিক ব্যক্তি হিসেবে বর্ণনা করা হয়। ধন্বন্তরী হলেন হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী মতে দেবতাদের চিকিৎসক।
রাও (২০০৫) এর ধারণা মতে বৃদ্ধ সুশ্রুত রচিত সুশ্রুত সংহিতা নামক আদি গ্রন্থের স্তরÑটিকে পরবর্তীতে খ্রিস্টিয় প্রথম শতাব্দীতে অন্য সুশ্রুত এসে সম্পাদনা করেন এবং এরও পরের সংযুক্তি ও সম্পাদনা ঘটে নাগার্জুন কর্তৃকÑ যা সুশ্রুত সংহিতার ধারাভাষ্যের প্রথম রচয়িতা দলহন (১২০০ খ্রী.) সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। দলহনকৃত এই সংস্করণ আজো আমাদের হাতে বিদ্যমান।
সুশ্রুত সংহিতা হচ্ছে ভারতের সবচেয়ে পুরাতন চিকিৎসা গ্রন্থ যা শল্যবিদ্যা ও প্রসুতি বিদ্যার বাস্তব সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে লেখা। সুশ্রুত এতে মৃত মানুষের অঙ্গ ব্যবচ্ছেদের মাধ্যমে এবং ব্যাপক জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে মানব শরীরের গঠন প্রণালী বিষয়ে বিস্তৃত আলোচনা করেন।
শল্যচিকিৎসা শব্দটা এসেছেÑ শল্য বা তীর থেকে। মূলতঃ শত্রুর তীর অর্থে; যেহেতু তৎকালে মুখ্য আঘাতগুলো মূলতঃ যুদ্ধজনিত ছিল, আর তা শল্য বা তীর থেকে প্রাপ্ত হতো সেহেতু এই নাম। সুশ্রুত গুরুত্ব আরোপ পূর্বক বলছেন যে, শরীরের কোন মুখ্য বা গুরুত্বপূর্ণ অংশে যদি তীর আঘাত করে তখন তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে।
খ্রী.পূ. ৮০০ সাল থেকেই প্রাচীন ভারতে সার্জারী বা শল্যবিদ্যার প্রসার ও বিকাশ ঘটেছে। বিশেষতঃ প্লাস্টিক সার্জারী, চোখের ক্যাটারেক্ট অপারেশন ও দাঁতের সার্জারীতে। রাজায় রাজায় যুদ্ধজনিত বর্ণনাতীত শারীরিক জখম এবং সামাজিক প্রয়োজন ও প্রণোদনাÑ এর বিকাশের দু’টো মুল কারণ। অন্যূন আড়াই হাজার বছর আগে প্রাচীন নগরী কাশী তথা বর্তমান বারাণসীতে বসবাসরত মেডিক্যাল থিওলজিয়ান তথা চিকিৎসা বিষয়ক তাত্ত্বিক এবং প্র্যাকটিসিয়ান সুশ্রুত তাঁর রচিত ‘সুশ্রুত সংহিতা’য় অন্ততঃ সার্জারীর সাতটি বিভাগ উল্লেখ করেন। কেটে বাদ দেওয়া (এক্সিশন), কোন একটা অংশকে দাগ এ পরিণত করা (স্কারিফিকেশন), ছিদ্র করে দেয়া (পাংচারিং), একটা অঙ্গে ঢুকে পরখ করে দেখা (এক্সপ্লোরেশন), টেনে বের কর ফেলে দেয়া (এক্সট্রেকশন), একটি অংশ খালি করা পরিষ্কার করা (ইভাকুয়েশন), এবং সেলাই করা (সিউচারিং)। এই গ্রন্থে আরো রয়েছে রাইনোপ্লাস্টি নামক নাকের অপরাশেন, অপথেলমোলজিক্যাল যেমন ক্যাটেরেক্ট অপারেশন এর মতো বিষয়।
সার্জারীকে তৎকালে বলা হতো শস্ত্রকর্ম, এবং এটা ছিল আয়ুর্ব্বেদের আটটি শাখার একটি। সুশ্রুত সার্জারীতে খুব পরদর্শী ছিলেন এবং এই বিষয়টিকে একটা আর্টে পরিণত করেছিলেন। রাইনোপ্লাস্টি তথা প্লাস্টিক সার্জারীর প্রথম ধারণা তাঁরই অবদান। তৎকালে যুদ্ধে এবং সামাজিক শাস্তি বিধানে নাক কাটার ঘটনায় জনসমক্ষে যে বিব্রতকর অবস্থার সৃষ্টি হতো তা থেকে এই রাইনোপ্লাস্টির উৎপত্তি। আজকালকার যুগেও এই ‘নাক কাটা গেছে’ বা ‘নাক খত দেওয়া’ ইত্যাদি কথা প্রচলিত আছে। এছাড়া ক্যাটার‌্যাক্ট বা চোখে মোতি হলে তা ফেলে দেয়াও তাঁর আবিস্কৃত। আজকের দিনের মতো হাজার হাজার বছর আগেই তিনি প্রতিটি অপরারেশন প্রক্রিয়ায় তাঁর অভিজ্ঞতালব্ধ ও সৃষ্ঠ ধাপগুলো মেনে সুশৃঙ্খলভাবে তা সম্পন্ন করতেন। স্বভাবতঃই তাঁর অপারেশনের সাফল্যের হার বেশ উঁচু ছিল এবং তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়েছিল তাঁর রোগীরা ছিল দেশ ও বিদেশ উভয় স্থলের।
আদি শুশ্রুত সংহিতা সংস্কৃত ভাষায় লিখা, এবং রচনার পর বহু শতাব্দী ভর সংরক্ষিত অবস্থায় রাখার কারণে এতে স্থিত বিশাল জ্ঞানভা-ার ব্যাপক ভাবে প্রচারিত হতে পারেনি। পরে এই মূল গ্রন্থ খোয়া যায়। এবং বর্তমানের সুশ্রুত সংহিতা বৌদ্ধ পন্ডিত ও গবেষক বসুবন্ধু’র (৩৫০Ñ৩৬০ খ্রী.) পুনর্লিখিত রূপ। অষ্টম শতাব্দীতে বাগদাদের খলিফা মনসুরের(৭৫৩Ñ৭৭৪) নির্দেশে এটা “কিতাবÑ শ শুন ÑএÑহিন্দ” এবং “কিতাব ই সশ্রুদ” নামে অনুদিত হয়। ৪৫০ খ্রীষ্টাব্দের দিকে আরণ্য বৃক্ষের (ভূর্য) বাকলে লিখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল ‘বাওয়ার পান্ডুলিপি’ পূর্ব তুর্কীস্থানের কুছার অঞ্চলে আবিষ্কৃত হয় যা প্রাচীন ভারতীয় চিকিৎসা সম্পর্কিত, এই মূল্যবান দলিল বর্তমানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরীতে গচ্ছিত আছে।
শল্যবিদ্যার এই অনবদ্য গ্রন্থে বিধৃত অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন নির্ভুল বিশদ বর্ণনা অন্তরে গভীর ছাপ ফেলে। এই গ্রন্থে ১৮৪ টি অধ্যায়, আঘাত এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্ঠ নানা রোগের এবং মানসিক ও অন্যান্য রোগ সহ ১১২০টি অবস্থার বর্ণনা রয়েছে। এছাড়া রয়েছে, ৭০০ঔষধি বৃক্ষের পরিচয় ও উপকারিতা, ৬৪টি খনিজ দ্রব্য থেকে তৈরী ঔষধ, ৫৭ টি প্রাণী উৎস থেকে আহরিত ও প্রস্তুতকৃত ঔষধ। শুশ্রুত এ সংহিতায় তৎকালে ব্যবহৃত ১২০টি সার্জিকেল যন্ত্রপাতির বর্ণনা দেন। তিনি ৩০০টি সার্জিকেল কার্যপ্রণালীর এবং আটটি বিভাগে মানুষের সার্জারীকে শ্রেণীবদ্ধ করেন। শুশ্রুত সংহিতায় অনেকগুলো অধ্যায় রয়েছে সার্জনদের প্রশিক্ষণ ও প্র্যাকটিস বা চর্চার জন্য। এই মূলতঃ শল্য চিকিৎসা গ্রন্থে কিভাবে সার্জিকেল ইন্সিশন দেয়া হবে তথা পরিকল্পিত ভাবে কাটতে হবে, পেটের পানি কিভাবে ফেলতে হবে, দাঁত ফেলা, কোন অংশ কেটে বাদ দেয়া, ক্ষার বা উত্তাপের মাধ্যমে একটা অংশ দাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়া (জীবাণু মুক্ত করা), পুঁজ বা পেটের পানি টেনে বের করার যন্ত্র, প্রস্রাব আসার পথের সংকোচনকে বিস্ফারিতকরণ বা ডাইলেটেশনের মাধ্যমে নিরাময় করা, হার্নিয়ার অপারেশন, ভ্যাসিকিউলোলিথটমি,অর্শ ভগন্দর, পেটের শল্য চিকিৎসা যথা পেট কেটে ভেতরের অন্ত্র প্যাঁচ খাওয়া, অন্ত্র ছিদ্র হয়ে যাওয়া, বা আকস্মিক আঘাতে পেটের ভেতরের নানা প্রত্যঙ্গ বেরিয়ে আসা ইত্যাদির সুচারু ব্যবস্থাপনা রয়েছে। একারনেচট্ (অপশবৎহবপযঃ) এর পর্যবেক্ষণ মতেÑ ‘মধ্যযুগে ইটালীতে বিকশিত হওয়া প্লাস্টিক সার্জরী ভারতীয় আদি প্লাস্টিক সার্জারীর সরাসরি উত্তরসূরী’। শুশ্রুত বর্ণিত কাটা নাক (রাইনোপ্লাস্টি) এর প্লাস্টিক সার্জারীর চমৎকার কৃৎকৌশলের বিস্তৃত বর্ণনা এখানে স্থান সংকুলানের কারণে দেয়া অসম্ভব।
এই সংহিতার ১ম পুস্তক সূত্রস্থানমÑএর ১৬তম অধ্যায়ে কানের অটোপ্লাস্টি ও গলার লেরিঙ্গোপ্লাস্টি’র বর্ণনা রয়েছে। আজকের মতো তৎকালেও কান ছিদ্র করার রীতি প্রচলিত ছিল এবং ভারী কানের দুলে কানের লতি ছিঁড়ে যেতো। তার জন্য শুশ্রুত কানের লতির ১৫ ধরণের প্লাস্টিক সার্জারীর বর্ণনা দেন। তিনি মুখম-ল থেকে চামড়া নিয়ে কেটে যাওয়া কানের লতি মেরামতের অপারেশন চালু করেছিলেন এর নাম দিয়েছিলেনÑকর্ণবন্ধ এবং মাঝে মধ্যে এর ড্রেসিং ও নানা মলম কিভাবে তৈরী করা হবে এবং লাগানো হবে তিনি তারও বিস্তৃত বর্ণনা দেন। শুশ্রুত সংহিতায় ক্যাটেরেক্ট এর শল্য চিকিৎসার উল্লেখ রয়েছে। এটা হচ্ছে প্রথম সহস্রাব্দের প্রথম দিকের শতাব্দীগুলোতে উল্লেখিত এবং ‘জবামুখী’ নামে স্থানীয় একটি যন্ত্র এই অপারেশনে ব্যবহৃত হতো, যা দেখতে একটি বাঁকা সুঁই এর মতো যা দিয়ে চোখের ভেতর থেকে অস্বচ্ছ লেন্সটিকে বের করে আনা হতো। এরপরে ঈষদুষ্ণ ঘি দিয়ে চোখ ব্যান্ডেজ করে দেয়া হতো।
সুশ্রুত সংহিতার ‘পূর্বতন্ত্র’ ও ‘উত্তরতন্ত্র’ নামক দু’টি অংশ আছে। এ দুটি বিভাগ শল্য এবং শলক্য বাদ দিয়ে মেডিসিন, শিশুরোগ, বার্ধক্যজনিত রোগ, নাক কান গলা, বিষক্রিয়া, মানসিক রোগ যৌন শক্তি বর্দ্ধক (আফ্রোডিজিয়াক) ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে। পূর্বতন্ত্র আয়ুর্ব্বেদের চারটি শাখায় বিধৃত রয়েছে। এটা পাঁচটি গ্রন্থে এবং ১২০ টি অধ্যায়ে বর্ণিত। (উল্লেখ্য অগ্নিবেশতন্ত্র যা ‘চরক সংহিতা’ রূপে সমধিক পরিচিত এবং ভাগবতের ‘অষ্টাঙ্গ হৃদয়ম’ও ১২০ অধ্যায়ে বিভক্ত।) এই পাঁচটি গ্রন্থ হচ্ছে Ñ সূত্র স্থান (স্থ্ান শব্দের অর্থ গ্রন্থ), নিদান স্থান (রোগের কারণসমূহ, লক্ষণ, এতে বর্ণিত), শরীর স্থান (ভ্রুণ থেকে শুরু করে শরীরের এনাটমি), কল্প স্থান ও চিকিৎসা স্থান।
এটা বিষ্ময়কর যে তিনি তৎকালে আঘাত ও ক্ষতকে স্তর ও গোত্রভুক্ত করতে পেরেছিলেন। আঘাত ও ক্ষত ও তার ব্যবস্থাপনার যে বর্ণনা দিয়েছেন তা বিশাল ও বৈচিত্র্যধর্মী। শুশ্রুত বলেন যে, কোন অংশ কাটা গেলে তা টেনে জোড়া দিয়ে সেখানে সেলাই দিলে কাটা অংশের ঘা দ্রুত ও ভালো শুকায়। তিনি এতে রক্তস্রাব নিরোধী ক্কাথ প্রয়োগে এবং বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য বা তাপ প্রয়োগের কথাও উল্লেখ করেন, শেষোক্ত ব্যবস্থাগুলো জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করেছে যদিও জীবাণুর সংক্রমণের ধারণা সম্ভবতঃ তখনো ছিলনা। তবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তিনি দেখেছিলেন যে এসবের প্রয়োগে ক্ষত দ্রত শুকায়। শল্য চিকিৎসা’র নানা ব্যাপারগুলো যুদ্ধাহতদের চিকিৎসার সময়ে যে উন্নতি লাভ করেছিল সেকথা বলাই বাহুল্য। শুশ্রুত কয়েক হাজার বছর পূর্বেই বেশ পদ্ধতিগতভাবে স্তর রকমফের মাফিক ও পর্যায়ক্রম মেনে তদনুসারে বিন্যাসপূর্বক বলছেন যে, কোন আঘাতে শরীরের যে কোন একটি বা ততোধিক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়Ñ চামড়া, মাংস, রক্তের শিরা উপশিরা, পেশীতন্তু জনিত শক্তি (মনে হয় তিনি এখানে নার্ভ বা ¯œায়ুতন্ত্রকে নির্দেশ করেছেন, আমরা জানি ¯œায়ুতন্ত্র কাটা গেলে শরীরের সেই অংশ নাড়াচাড়া বা শক্তিহীন হয়ে পড়ে), হাড়, অস্থিগ্রন্থি, বুক পেট শরীর অভ্যন্তরে স্থিত নানা অঙ্গকে আহত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এটা বিস্ময়কর যে, সুশ্রুত এ্যানেসথেশিয়া বা রোগীকে অজ্ঞান করার ব্যবস্থার অগ্রদূত ছিলেন। ভয়ংকর ব্যথা থেকে রোগীকে মুক্তি দিতে ওয়াইন বা আঙ্গুর থেকে তৈরী সুরা পান করতে দিতেন, এবং ক্যানাবিস এর ধোঁয়ার ব্যবস্থা ছিল এনেসথেশিয়া হিসেবে। তবে পরবর্তী কালে নিদ্রাকর্ষক মাদক দ্রব্য পাওয়া যায় এমন উদ্ভিদ যথা ‘হেনবেইন’ বা বনজ সম্মোহিনী ও সঞ্জীবনী ইত্যাদিও অজ্ঞান করার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।

Thursday, 6 October 2016

আমাদের ব্রেনও রং বদলায় রাগে, দুঃখে, বিস্ময়ে, অভিমানে




আমাদের ব্রেন মানে মগজও রং বদলায়! রাগে, দুঃখে, বিস্ময়ে, অভিমানে। লাল থেকে কমলা, হলুদ থেকে সবুজ বা বেগুনি রঙে বদলে বদলে যায় আমাদের মগজের কোনও কোনও এলাকার রং! কোনওটা হয়ে যায় 'রেড ফোর্ট' তো কোনওটা হয়ে ওঠে 'গ্রিন ল্যান্ড'!
রামধনুর যেমন রয়েছে সাত-সাতটি রং আর সাতটি রং মিলেমিশে গিয়ে যেমন জন্ম হয় দৃশ্যমান আলোর, সা রে গা মা পা'র সপ্তসুর যে ভাবে গেড তোলে গানের 'শরীর', তেমনই সাতটি রঙে জেগে ওঠে আমাদের মগজে থাকা সাত-সাতটি অনুভূতি। ইমোশন্স। রাগে মগজের এক অংশে যদি ছোপ লাগে লাল রঙের, তা হলে দুঃখে মগজের অন্য একটি অংশ রঙিন হয়ে ওঠে কমলা রঙে। বিস্ময়ে আরও একটি অংশ হয়ে ওঠে সবুজ।

Thursday, 29 September 2016

কুকুর কামড়ালে তাৎক্ষণিক যা করবেন




কুকুর কামড়ালে তাৎক্ষণিক যা করবেন

পথে ঘাটে হঠাৎ ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। কামড়াতে পারে কুকুর। কুকুরের কামড় অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক এবং মারাত্নক। কুকুরের কামড় থেকে জলাতঙ্ক রোগ হতে পারে। রেবিস নামক ভাইরাস থেকে জলাতঙ্ক রোগ হয়ে থাকে। এটি একটি স্নায়ুজনিত রোগ।

রেবিস ভাইরাস কুকুরের লালা থেকে ক্ষতস্থানে লেগে যায় এবং সেখান থেকে স্নায়ুতে পৌঁছে এই রোগ সৃষ্টি হতে পারে।  জলাতঙ্ক হলে স্নায়ুতে সমস্যা হয়ে থাকে। যার কারণে মস্তিষ্কে প্রদাহ দেখা দিতে পারে। মস্তিষ্কে প্রদাহের সাথে খাদ্যনালীতে তীব্র সংকোচন হতে পারে। এছাড়া রোগী কোন আলো বা শব্দ  সহ্য করতে পারে না। এই সকল লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে। তবে কুকুর কামড়ালে প্রাথমিকভাবে কিছু পদক্ষেপ নিতে হয়। এই কাজগুলো করা হলে মারাত্মক আকার ধারণ করা প্রতিরোধ করা সম্ভব।

ক্ষত পরিষ্কার করুন:
প্রথমে একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে ক্ষতের স্থানটি চেপে ধরুন। তারপর কুকুরের কামড় দেওয়া স্থানে বেশি করে সাবান জল দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করুন। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করা ভাল। এটি ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য জীবাণু দূর করে থাকে। তবে ক্ষত পরিষ্কার করার সময় খুব বেশি ঘষাঘষি করবেন না।

রক্ত বন্ধ করুন:
ক্ষত স্থানে চাপ দিয়ে কিছুক্ষণ ধরে রাখুন। এতে রক্ত পরা বন্ধ হয়ে যাবে।

ব্যান্ডেজ:
ক্ষতস্থানটিতে অ্যান্টিবায়েটিক ক্রিম বা অয়েন্টমেন্ট লাগিয়ে নিন। তারপর একটি গজ কাপড় দিয়ে ভাল করে ব্যান্ডেজ করে ফেলুন। ক্ষত স্থান খোলা থাকলে এতে বিভিন্ন রোগ জীবাণু প্রবেশ করতে পারে।


সতর্কতা:
কুকুরের কামড়ে অনেক সময় রোগী মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। তাকে আস্থা প্রদান করতে হবে যে, সে আবার সুস্থ হয়ে যাবে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর অব্যশই রোগীকে ডাক্তার কাছে নিয়ে যেতে হবে।


ডাক্তারের কাছে যাওয়া:
প্রাথমিক চিকিৎসার পর ডাক্তারের কাছে যেতে হবে ।

Wednesday, 28 September 2016

আপনার নাম আপনার সম্বন্ধে ঠিক কী বলছে দেখে নিন!




 
নিউমেরোলজি কথা হয়ত সকলেই শুনেছেন। অনেকেই এই বিদ্যাকে বিশ্বাস করেন। আবার অনেকেই মনে করেন যত সব ভুল ভাল কথা। কিন্তু সব থেকে বড় কথা হলো বিশ্বাস না থাকলে যে কোনও কাজই সঠিকভাবে করা যায় না। শুধুমাত্র নিউমেরলজির ক্ষেত্রেই নয়।

জীবনের প্রতিটা পরীক্ষাতেই যদি আপনার নিজের প্রতি বিশ্বাস না থাকে তাহলে সেই কাজে সফল হওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। ধরুন আপনি চাকরির পরীক্ষা দিতে যাচ্ছেন, তখন নিশ্চয়ই বেরনোর সময় বাবা-মায়ের আশীর্বাদ অবশ্যই নেবেন। কারণ আপনি জানেন এই আশীর্বাদের প্রতি আপনার বিশ্বাস আছে। আবার ঠিক তেমনভাবেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার দিনটি কেমন যাবে। সেটাও আগের দিন ইন্টারনেট থেকে পাওয়া সহজলভ্য জ্যোতির্বিদ্যার বিভিন্ন সাইট থেকে দেখে নেন অনেকেই।

তাহলে এবার দেখে নিন ঠিক কীভাবে নিউমেরলজিতে হিসেব করা হয়। এখানে কোন বর্ণমালার সঙ্গে কোন সংখ্যা যায় তার লিস্ট দেওয়া হল…
এবার দেখে নিন ঠিক কীভাবে গণনাটি করা হয়ে থাকে। ধরুন আপনার নাম হল ARUN
A=১, R=২, U=৬, N=৫
এবার এই সংখ্যাগুলিকে যোগ করতে হবে, ১+২+৬+৫= ১৪
যোগফল দুই সংখ্যার হলে তাকে আবার যোগ করতে হবে। যেমন ১+৪=৫। তাহলে আপনার নামের সংখ্যাটি হল ৫।

এবার দেখে নিন নিউমেরলজি আপনার নাম সম্পর্কে ঠিক কি বলছে…

নামের সংখ্যা ১ হলে
খুবই উচ্চাকাঙ্খী হলেন আপনি। চলতে গিয়ে আপনাকে অনেক বাধার সম্মুখীন হয়ে হয়। কিন্তু আপনার মধ্যে সেই বাধা অতিক্রম করে এগিয়ে যাওয়ার প্রবল ক্ষমতা বর্তমান। যাতে কেউই আপনাকে দমিয়ে রাখতে পারে না।


নামের সংখ্যা ২ হলে
আপনাকে চাঁদের সঙ্গে তুলনা করা হয়। অনেক সময় আপনি নিজের ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেন। যার ফলে আপনাকে কাজের ক্ষেত্রে এবং ব্যক্তিগত জীবনে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়।

নামের সংখ্যা ৩ হলে
কাজও যেমন করেন, তেমন সফলতাকে উদযাপনও করেন সফলভাবে। অন্যদের থেকে তাড়াতাড়ি নিজের লক্ষ্যে পৌঁছে যাওয়ার এক অদ্ভুত দক্ষতা আছে আপনার মধ্যে।

নামের সংখ্যা ৪ হলে
আপনি খুব চট জলদি কাউকে বন্ধু বানান না। কিন্তু যখন কাউকে আপনি নিজের বন্ধু বানিয়ে ফেলেন তার জন্য জীবনও দিতে পারেন আপনি।

নামের সংখ্যা ৫ হলে
আপনি খুবই বুদ্ধিমান এবং সমস্ত কাজ খুব চট জলদি করে ফেলতে পারেন। যে সব কাজ করতে খুব বেশি সময় লাগে, সেই কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখতেই বেশি পছন্দ করেন আপনি।

নামের সংখ্যা ৬ হলে
আপনার আশে পাশের সকলের থেকেই সম্মান পেতে চান আপনি। আবার অনেক সময় সেই সম্মান খুইয়ে ফেলার মতো কাজও করেন। উচ্চাভিলাষী হওয়ার জন্য প্রচুর অপব্যয়ও করে ফেলেন।

নামের সংখ্যা ৭ হলে
আপনার শক্তি প্রবল। তবে শিল্পকলার প্রতি আগ্রহ সব থেকে বেশি। কিন্তু পুরনো পন্থাকে অবলম্বন করে চলতে প্রবল দ্বিধা আপনার।

নামের সংখ্যা ৮ হলে
আধ্যাত্মিকতার প্রতি অদ্ভুত ইচ্ছা আছে আপনার। এছাড়া যেকোনও দায়িত্বপূর্ণ কাজকে সুদক্ষভাবে করে তুলতে পারেন আপনি।

নামের সংখ্যা ৯ হলে
রাগ যেন আপনার ঠিক নাকের ডগায় থাকে। আবার খুব তাড়াতাড়ি রাগ ভেঙেও যায়। যতই রাগ করুন না কেন যে কোনও কাজকে সঠিক সময় শেষ করার জন্য আলাদা একটা খ্যাতি আছে আপনার।

Sunday, 25 September 2016

NOT QUALIFIED




মোবাইলের স্ক্রীনটার দিকে তাকিয়ে চমকে উঠল গ্যাঁড়া৷ পরিস্কার টের পেল, একটা হিমশীতল ঠান্ডা স্রোত মেরুদন্ড বরাবর বিদ্যুত গতিতে বয়ে গেল৷ মুহুর্তের মধ্যে গোটা শরীর ঘেমে উঠল৷ হৃৎপিন্ডের গতিটা অস্বাভাবিক রকমের বাড়তে শুরু করল৷
বন্ধ দরজার ওপারে ততক্ষনে মায়ের বকবক শুরু হয়ে গেছে৷ ও জানে মা একটু বেশিই কথা বলে৷ আজ কেমন যেন আরও একটু বেশিই বলছে
—বদনের হইচে৷ সন্টারও হইচে৷ অনেকেই পেইচে৷ ঝিলিকের মাসির দেওরের বোনের মেয়ে পেইচে৷ পচির বাবাও৷ সবাই পেইচে৷ গাঁয়ে হয়নি এমন কেউ নাই৷
হোঁদলের হইচে বলে আমার গেদে আনন্দ লাগচে৷ বেচারা এতবার ধরে দিচ্চে৷ এবার ভগবান মুক তুলে চেয়েচে৷ যাক্ বাবা! ভালয় ভালয় কাছে পিঠে কুথাও একটা ঢুকে গেলেই বাঁচি৷
ও বাবা গ্যাঁড়া...উঠ উঠ উঠ...খবর পেইচুত?
ঘরের ভেতর গুমোট ভাবটা ধীরে ধীরে বাড়তে লাগল৷ দরজায় দেওয়া প্রতিটা করাঘাত সোজাসুজি গ্যাঁড়ার স্নায়ুতন্ত্রে আঘাত করছে৷ গ্যাঁড়া দরজা খুলে বাইরে বেরুনোর সাথে সাথেই, ঘরভেতরের গুমোট ভাবটা এক লহমায় গোটা বাড়িটাকে গ্রাস করে ফেলল৷ দুটো উৎসুক মুখের উপর মুহুর্তে কালো অন্ধকার ছড়িয়ে পড়ল৷
দরজা টা খোলা রেখেই ঘর থেকে বেরিয়ে গেল গ্যাঁড়া৷ রান্নাঘরে মা তখনও গজগজ করে চলেছে
—কপালে না থাগ্লে আর কি হবে৷ ভগবান যে এখন আর চোখে কানে দেখতে পায়নি৷ যাদে দরকার নাই তাদে ঘরে গন্ডায় গন্ডায় হচ্চে৷ আমাদে কপালে কি আর আছে! সব কপালের দোষ৷ না হলে বছর বছর দিচ্চে, হয়নি ক্যানে? যাদে কপালে আছে তাদে হচ্চে৷ গাড়ির ডেরাইভারের হচ্চে৷ দুদবালার হচ্চে৷ পেপারবালার হচ্চে৷ আমাদে ক্যানে হবেনি! সব কপাল, ভাগ্য৷
বাড়ি থেকে দুরত্ব বাড়ার সাথে সাথে মায়ের শব্দগুলো অস্পষ্ট হয়ে যেতে লাগল৷
রাজুর চা দোকানে তখন মেলা ভিড়৷ ওর মনে হল সবাই বোধ হয় ওর দিকেই তাকিয়ে আছে! সবাই বোধয় ওকে দেখেই হাসছে! সবাই বোধয় এতক্ষনে সব জেনে গেছে৷ 'গ্যাঁড়া পারেনি'!
ভীষন ভয় পেল, এই বোধয় কেউ জিজ্ঞাসা করে বসল
—কিরে গ্যাঁড়া! সবারির হল, তুই পাল্লিনি৷
ত্রস্ত পায়ে দ্রুত এই জায়গা টা পেরিয়ে যেতে চাইল সে৷ আজ বাবা বেঁচে থাকলে কিছু নিশ্চই বলত! বাবা আজ পর্যন্ত কখনও তাকে কিছু বলেনি৷ কোন ব্যাপারেই কখনও কিছু বলেনি৷ মা যতটাই বকবক করে, বাবা ঠিক ততটাই শান্ত! চুপচাপ৷ আজ প্রথম বলল৷ বাবার ফটোটার দিকে তাকিয়ে ও পরিস্কার শুনতে পেল
—এবারে হলে ভাল হত! এবারেরটা হবে ভেবেছিনুম৷
একটা ভারি পাথর বুকের ওপর ধীরে ধীরে চেপে বসছে৷ একটার পর একটা ফোন ওকে ক্রমশ আরও গভীর অন্ধকারের দিকে ঠেলতে ঠেলতে নিয়ে যাচ্ছে৷ একটার পর একটা প্রশ্নবানে জেরবার হয়ে যেতে লাগল গ্যাঁড়া৷ উপদেশের বন্যা বয়ে যেতে লাগল মাথার উপর দিয়ে৷
—ভাল করে খাটতে হবে৷ এভাবে কত্তে হবে৷ ই এভাবে কচ্ছিল৷ হয়নি ক্যানে? হলনি ক্যানে? এটা করিসনি? এভাবে করিসনি????!!!!!
নিজেকে ভীষন বেচারা মনে হতে লাগল৷ নিজের কোন অস্তিত্বই খুঁজে পাচ্ছেনা এখন৷
ও জানে, অনেকেই আজ ওর সামনে সহমর্মিতা দেখালেও পিছনে ঠিক হাসছে৷ ওকে নিকৃষ্ট ভাবছে৷ ওকে নিয়ে মজা করছে৷ ওর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে৷ অনেকেই হয়ত হাঁফ ছেড়ে বাঁচছে!
—যাক্ ! গ্যাঁড়ার হইনি ভালই হইচে৷ মদমাতালের ঘরে আবার চৈতন্ন হবার শখ৷ শালা ঠিক হইচে৷ ভগবান বলে জিনিস আছেনা!
বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দুরে তখন জঙ্গলে অন্ধকার নেমেছে৷ জোনাকি গুলো আজ একত্রে বৃথা চেষ্টায়, গ্যাঁড়ার জীবনে আজ আলোর যে খুব প্রয়োজন৷
পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে চেনা নম্বর টা ডায়াল করল গ্যাঁড়া..
—হ্যালো! রাই!
—অ! তুমি? হয়নি ত!
—.....না!
—আমি ত জানতুম৷ আচ্ছা ঠিকাছে এখন রাখ৷ আমি একটু ব্যাস্ত আছি৷
—তোমার ফোন ওয়েটিং দেখাচ্ছিল?
—পদুকে ফোন কচ্ছিলুম৷
—সেই ছ্যানাটা, যে তমার হাত ধরে টেনেছিল? তাখে!
—ছাড় দিখিনি উসব৷ পদুরও হইচে এবরে৷ দুটাই হইচে জান৷ আমারও ত হইচে৷ এবরে কুথাউ ঢুকতে গেলেত আরেকটু ভাল কত্তে হবে নাকি৷ এবরে কুথায় কি কত্তে হবে এই লিয়েই পদুকে ফন কচ্ছিলুম৷ দিব্যি কথা হচ্ছিল, আর তুমি সময় পেলেনি! যত্তসব!
—ও! ডিসটাব কল্লুম৷ থাক থালে এখন৷ পরে করব৷ কখন করব?
—আর কত্তে হবেনি৷ পদুর সঙ্গে অনেক দরকারি কথা আছে৷ ওদে ঘর যাচ্চি এখন৷ আর হ্যাঁ শুন, আমাকে এখন আর যখন তখন ফোন করবেনি৷ সামনে খুব চাপ! টেনশেনে আছি৷ পদুর সঙ্গে অনেক আলচনার বেপার আছে৷ বাবা আমাকে পদুর ঘরে দিয়ে এসবে, রাত করে ফিরব৷ এখন রাকচি৷
কেটে যাওয়া ফোনের নিভে যাওয়া লাইটের মতই গ্যাঁড়ার জীবনে আরও গভীর অন্ধকার ঘনীভুত হয়ে উঠল৷
মোবাইলের স্ক্রীনশটে তখনও প্রাইমারী, আপার প্রাইমারীর রেজাল্ট জ্বলজ্বল করছে৷
NOT QUALIFIED
গ্যাঁড়ার বুক ফেটে কান্না বেরিয়ে আসতে লাগল৷ চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছা করল৷ নিজেকে শেষ করে দিতে ইচ্ছা করল৷ কিন্তু....
পুরুষ মানুষের কান্না শোভা পায় না৷ পুরুষ মানুষ কাঁদে না৷পুরুষ হৃদয় আরও কঠিন হয়৷

পরীক্ষা প্রস্তুতি 2016-2017 -- WB SSC group D and C 2016

পরীক্ষা প্রস্তুতি 2016-2017



1. বঙ্গোপসাগরের অন্তর্ভুক্ত কটি দ্বীপ আছে?
Ans. 204 টি ।
2. সিয়াচেন হিমবাহ কোথায় অবস্থিত ?
Ans. নাব্রা উপত্যকা (কারাকোরাম) ।
3. সূয়েজ ক্যানাল কোথায় অবস্থিত ?
Ans. ইজিপ্টে ।
4. Solar System এর আবিষ্কারক কে?
Ans. কোপার্নিকাস ।
5. বিশ্বে প্রথম মহাশূন্যে হেঁটেছেন কে?
Ans. অ্যালেক্সি লিওনভ ।
6. পৃথিবীর শীতলতম স্থান কোনটি?
Ans. সাইবেরিয়া ( ভারখয়ানস্ক ) ।
7. ভারতবর্ষে মোট কটি দ্বীপ আছে?
Ans. 247 টি ।
8. পূর্বঘাট পর্বতের অপর নাম কি?
Ans. মলয়াদ্রি ।
9. পৃথিবীর উচ্চতম বিল্ডিং কোনটি?
Ans. বুর্জ খলিফা ।
10. 2011 সালের আদমসুমারী অনুযায়ী, ভারতের সবচেয়ে গরীব রাজ্য কোনটি?
Ans. ছত্তিশগড় ।
11. আয়তনে বা জনসংখ্যায় বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ কি ?
Ans. ভ্যাটিকান সিটি ।
12. কোন শহরকে “নীরব শহর” বলা হয় ?
Ans. রোম ।
13. দৈর্ঘ্য , প্রস্থ , উচ্চতা – তিনটি মাত্রা , চতুর্থ মাত্রা কি ?
Ans. সময় ।
14. কসমিক ইয়ার (Cosmic Year) কি ?
Ans. যে সময়ে সৌরজগৎ ছায়াপথ বা আকাশগঙ্গাকে একবার প্রদক্ষিণ করে ।
15. গঙ্গা , যমুনা ও সরস্বতী নদী কোন শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ?
Ans. এলাহাবাদ ।
16. ভারতের কোন বিখ্যাত আন্দোলনের অন্যতম স্লোগান ছিল “Ecology is Permanent Economy” ?
Ans. চিপকো আন্দোলন ।
17. ওড়িশা রাজ্যের State Animal কোনটি ?
Ans. সম্বর হরিণ ।
18. ‘ আমন ব্রিজ ‘ কোন দুটি দেশকে যুক্ত করেছে ?
Ans. ভারত – পাকিস্তান ।
19. পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ফলে কোথায় বৃষ্টিপাত হয় ?
Ans. বিহার – উত্তরপ্রদেশ ।
20. ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং এজেন্সি কোথায় অবস্থিত ?
Ans. হায়দ্রাবাদ ।
21. সমুদ্রে নাবিকরা যে যন্ত্রের সাহায্যে অক্ষাংশ নির্ণয় করে তার নাম কি ?
Ans. সেকস্ট্যান্ট যন্ত্র ।
22. পৃথিবীর বৃহত্তম পার্বত্য হিমবাহ কোনটি?
Ans. আলাস্কার হুর্বার্ড ।
23. পৃথিবীর গভীরতম ফিয়র্ড কোনটি?
Ans. নরওয়ের সেভলে ফিয়র্ড ।
24. উত্তর প্রদেশ ও বিহারের অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদকে কী বলে?
Ans. কোর বা তাল ।
25. আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প সমীক্ষা কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
Ans. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ।
26. আল্পস পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী?
Ans. মাউন্ট ব্ল্যান্ক ।
27. “চ্যালেঞ্জার খাত ” কোথায় অবস্থিত?
Ans. প্রশান্ত মহাসাগরে ।
28. বেরিং স্রোত কোন মহাসাগরে দেখা যায় ?
Ans. প্রশান্ত মহাসাগরে ।
29. বৃক্ষরূপী নদীবিন্যাস কোথায় দেখা যায়?
Ans. মরু অঞ্চলে ।
30. উত্তর গোলার্ধের “মেরুজ্যোতি ” কে কী বলে ?
Ans. আরোরা বেরিয়ালিস ।
31. ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জলপ্রপাতের নাম কী?
Ans. সরাবতী নদীর গেরসোপ্পা বা যোগ বা মহাত্মা গান্ধী জলপ্রপাত
32. পূর্বঘাট পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী?
Ans. অন্ধ্রপ্রদেশ ও ওডিশা সীমান্তে অবস্থিত আরমা কোন্ডা(1680 মিটার)
33. পশ্চিম ঘাট পর্বতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম কী?
Ans. কলসুবাই(1646 মিটার)
34. খাসি পাহাড় কোন রাজ্যে অবস্থিত?
Ans. মেঘালয়
35. অযোধ্যা পাহাড় কোন রাজ্যে অবস্থিত?
Ans. পুরুলিয়া, পশ্চিমবঙ্গ
36. “কচ্ছ ” শব্দের অর্থ কী?
Ans. জলাময় দেশ
37. “Sky River ” নামে কোন নদী পরিচিত?
Ans. ব্রহ্মপুত্র
38. জম্মু কোন নদীর তীরে অবস্থিত?
Ans. তাওয়াই
39. ময়ূরাক্ষী নদীর ওপর নির্মিত “মশানজোড় ” বাঁধ কে “কানাডা বাঁধ ” বলা হয় কেন?
Ans. 1954-55 সালে কানাডা সরকারের সহযোগিতায় নির্মান কাজ সম্পূর্ণ হয় বলে এই বাঁধের অপরনাম কানাডা বাঁধ
40. অষ্টমুদী হ্রদ কোন রাজ্যে অবস্থিত?
Ans. কেরালার কোলাম জেলাতে ৷
41. ভারতের সর্বোচ্চ জলপ্রপাতের নাম কী?
Ans. Kunchikal Falls(455 মিটার),Masthikatte , Shimoga district , Karnataka
42. ভারতের সুনামি পূর্বাভাস কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
Ans. 2007 সালের 15 অক্টোবর , অন্ধপ্রদেশের হায়দ্রাবাদে স্থাপিত হয়
43. প্রশান্ত মহাসাগরের সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র কোথায় অবস্থিত?
Ans. হনুলুলুতে
44. আন্তর্জাতিক জলাভূমি দিবস কবে পালিত হয়?
Ans. 2 রা ফেব্রুয়ারি
45. “রামসার ” চুক্তি কত সালে কার্যকর হয়?
Ans. 1975
46. কার্বন মুক্ত দেশ কোনটি?
Ans. ভুটান
47. কাঞ্চনজংঘা ন্যাশনাল পার্ক UNESCO এর World Heritage Site এর তালিকায় কবে স্থান পায়?
Ans. 18 জুলাই 2016
48. সুন্দরবন UNESCO এর World Heritage Siteএর তালিকায় কবে স্থান পায়?
Ans. 1987
49. ভারতে UNESCO প্রদত্ত বর্তমানে মোট কতগুলি স্থান World Heritage এর তকমা পেয়েছে ?
Ans. 35 টি
50. “চিপকো ” কথার অর্থ কী?
Ans. জড়িয়ে ধরা
51. “চিপকো আন্দোলন ” কবে গড়ে ওঠে?
Ans. 1973 সালে বর্তমান উত্তরাখন্ডের গাড়ওয়াল জেলার মন্ডল গ্রামে গাছ কাটার বিরুদ্ধে একটি স্বতঃস্ফূর্ত, অহিংস আন্দোলন গড়ে ওঠে , গাছকে জড়িয়ে ধরে এই আন্দোলন করা হতো বলে একে চিপকো আন্দোলন বলা হয় ৷
52. চিপকো আন্দোলনের শ্লোগান কী ছিল?
Ans. “What do the forest bear? Soil, Water and Pure Air ”
53. “অ্যাপ্পিকো আন্দোলন “কবে শুরু হয়?
Ans. 1983 সালে কর্ণাটকের সিরসী অঞ্চলের সলকানী বনাঞ্চলে গাছকাটার বিরুদ্ধে এই আন্দোলন শুরু হয় ৷
54. “অ্যাপ্পিকো ” শব্দের অর্থ কী?
Ans. গভীর ভাবে জড়িয়ে ধরা
55. “অ্যাপ্পিকো আন্দোলন “এর স্লোগান কী ছিল?
Ans. ‘Five Fs ”__F=Food,Fodder,Fuel, Fiber,Fertilizer “.
56. মেধা পাটেকর কোন পরিবেশ আন্দোলনের সাথে যুক্ত?
Ans. নর্মদা বাঁচাও আন্দোলন ।
57. ‘ ভারতের রূঢ় ‘ – কোন শহরকে বলে ?
Ans. দুর্গাপুর ।
58. ‘ উদীয়মান শিল্প ‘ কোন শিল্প কে বলা হয় ?
Ans. পেট্রো – রসায়ন শিল্প ।
59. মধ্য আমেরিকায় স্থানান্তর কৃষি কী নামে পরিচিত ?
Ans. মিলপা ।
60. বসুন্ধরা সম্মেলন কবে অনুষ্ঠিত হয় ?
Ans. 1992 সালে ।
61. WTO এর সদস্য দেশের সংখ্যা কত ?
Ans. 164 টি (July,2016)।
62. 2011 সালের আদমসুমারী অনুযায়ী , ভারতের জনঘনত্ব কত ?
Ans. 382 জন প্রতি বর্গকিমি ।
63. ভারতের সবচেয়ে দীর্ঘ জাতীয় সড়ক কোনটি ?
Ans. বারাণসী থেকে কন্যাকুমারী ।
64. জাভা দ্বীপ কোন মহাসাগরে অবস্থিত ?
Ans. প্রশান্ত মহাসাগর ।
65. মানবীয় ভূগোলের প্রবক্তা কে ?
Ans. ভিদাল – দে – লা – ব্লাচে ।
66. ‘Civilisation and Climate’ গ্রন্থটির লেখক কে ?
Ans. হান্টিংটন ।
67. ‘Cosmos’ কার লেখা ?
Ans. হামবোল্ট ।
68. মৃত্তিকার অম্লত্ব ও ক্ষারত্ব নির্ণয়ের সূচনা ঘটে কবে ?
Ans. 1909 সালে ।
69. ‘ সাংস্কৃতির উৎস ক্ষেত্র ‘ কথাটি প্রথম কে উপস্থাপন করেন ?
Ans. সাওয়ার ।
70. সমাজ ভূগোলে লোকাচার শব্দটি কে প্রথম ব্যবহার করেন ?
Ans. W.G. Sumner.
71. ভারতে শক্তির সর্ববৃহৎ উৎস কোনটি ?
Ans. তাপীয় ।
72. পশ্চিমবঙ্গের কোথায় লাক্ষা চাষ সবচেয়ে বেশি হয় ?
Ans. ঝালদা ও মানবাজার অঞ্চলে ।
73. সিঙ্গারেনী কয়লাখনি কোন রাজ্যে অবস্থিত ?
Ans. অন্ধ্রপ্রদেশ ।
74. মালপ্রভা নদী কোন রাজ্যে অবস্থিত ?
Ans. কর্ণাটক ।
75. ‘ বিশ্ব সমুদ্র দিবস ‘ কবে পালিত হয় ?
Ans. 8th June.
76. বাংলাদেশের কোন শহরকে ‘ প্রাচ্যের ডান্ডি ‘ বলা হয় ?
Ans. নারায়ণগঞ্জ ।
77. ভারতের প্রথম জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম কি ?
Ans. শিবসমুদ্রম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ।
78. ‘ নামধাপা ‘ ব্যাঘ্র প্রকল্প কোন রাজ্যে অবস্থিত ?
Ans. অরুণাচল প্রদেশ ।
79. সাইক্লোন বা অ্যান্টি সাইক্লোন কার প্রভাবে হয় ?
Ans. বাণিজ্য বায়ু ।
80. কোন নদীর তীরে শ্রীনগর অবস্থিত ?
Ans. ঝিলম ।
81. সম্প্রতি দার্জিলিং থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি নতুন জেলা তৈরি হলো , তার নাম কী ?
Ans. কালিম্পং ।
82. বাংলার দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে জেগে ওঠা নতুন দ্বীপটির নাম কি ?
Ans. পূর্বাশা ।
83. দ্বারকেশ্বর এবং শিলাবতী নদীর যুগ্ম প্রবাহ কী নামে পরিচিত ?
Ans. রূপনারায়ণ ।
84. বাংলার সর্বাধিক বৃষ্টিপাত যুক্ত জায়গা ‘ বক্সদুয়ার ‘ কোন জেলায় অবস্থিত ?
Ans. জলপাইগুড়ি ।
85. ‘ দিয়ারা ‘ অঞ্চলটি বাংলার কোন জেলার সঙ্গে যুক্ত ?
Ans. মালদা ।
86. বাংলার রাঢ় অঞ্চলের সবচেয়ে বড়ো নদী কোনটি ?
Ans. দামোদর ।
87. তিলপাড়া জলসেচ খালটি কোথায় অবস্থিত ?
Ans. বীরভূম ।
88. বাংলার কোন জেলায় সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয় ?
Ans. পুরুলিয়া ।
89. বাংলার কোন জেলায় সবথেকে বেশি গরম পড়ে ?
Ans. বর্ধমান জেলার আসানসোল ।
90. ‘ ত্রাসের নদী ‘ কাকে বলে ?
Ans. তিস্তা ।
91. ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কারাচিতে ‘ সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি ‘ কবে স্বাক্ষরিত হয় ?
Ans. 1960 সালে ।
92. কোন রাজ্যের একটি শহরের নাম ‘ পহেলগাম ‘ ?
Ans. জম্মু ও কাশ্মীর ।
93. ভারত কোন পথের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি বিশ্ব বাণিজ্য করে থাকে ?
Ans. সুয়েজ খাল ।
94. ভারতের স্ট্যান্ডার্ড টাইম কোন শহরের স্থানীয় সময় অনুসারে গণনা করা হয় ?
Ans. এলাহাবাদ ।
95. ভারতের সর্ববৃহৎ রাজ্যটি ভারতের সর্বক্ষুদ্র রাজ্য অপেক্ষা কত গুণ বড়ো ?
Ans. 90 গুণ ।
96. ভারতের কোন রাজ্যে সবচেয়ে বেশি নদী আছে ?
Ans. কেরালা ।
97. বাংলার ‘ শিলিগুড়িতে ‘ জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণ কী ?
Ans. ভালো সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ।
98. কোন দেশের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক স্ট্যান্ডার্ড সময় আছে ?
Ans. রাশিয়া ।
99. যদি বায়ুমণ্ডল না থাকত তবে আকাশের রং কী হত ?
Ans. কালো ।
100. কোন দেশে এলাকাগতভাবে সবচেয়ে বড়ো বিমানবন্দরটি অবস্থিত ?
Ans. সৌদি আরব ।

মেয়েটি এমনিতেই সমুদ্র সৈকতের ভিডিও করছিল, সেই ক্যামেরায় উঠে আসল এমন কিছু যা দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারবেন না



মেয়েটি এমনিতেই সমুদ্র সৈকতের ভিডিও করছিল, সেই ক্যামেরায় উঠে আসল এমন কিছু যা দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারবেন না 
মেয়েটি এমনিতেই সমুদ্র সৈকতের ভিডিও করছিল, সেই ক্যামেরায় উঠে আসল এমন কিছু যা দেখে নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারবেন না