Tuesday, 30 August 2016

ইলিশের প্রথম চাষ হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন অঞ্চলের কাকদ্বীপের পুকুরে



 সরস্বতী পুজোর পরে নাকি সে বছরের মতো আর ইলিশ খেতে নেই৷ কেন এমন নিয়ম বলা মুশকিল৷ তবে ধরে নেওয়া যায় , মাঘ থেকে চৈত্র , এই তিন মাস ইলিশ ধরা বন্ধ৷ তার পরে বৈশাখ -জ্যৈষ্ঠেও দেখা নেই তাদের৷ সেই আষাঢ়৷ মানে মাস পাঁচেকে বেশ খানিকটা বড় হয়ে গেল ইলিশ৷ কিন্ত্ত সংস্কার ভেঙে শীতেও পাতে পড়ছে ইলিশ , আর নিয়ম ভেঙে জালে উঠছে খোকা ইলিশ ! নিয়ম ভাঙার জন্য দায়ী বাঙালির ইলিশের প্রতি লালসা৷
        তবে ইলিশ -রসিকদের জন্য একটা সুখবরও আছে৷ এ বার সারা বছরই মিলতে চলেছে ইলিশের জোগান৷ টানা চার বছর গবেষণায় সাফল্য পেয়েছেন ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের (আইসিএআর ) অধীন কেন্দ্রীয় জলজীব পালন অনুসন্ধান সংস্থার কাকদ্বীপ শাখার মত্স্য গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা৷ ২১ মাসে চারশো গ্রামের বেশি ওজনের ইলিশ হচ্ছে , তার পেটে ডিমও মিলছে৷ মোহনার নয় , এই ইলিশ পুকুরের৷ তবে স্বাদ সমুদ্রের ইলিশের মতোই৷ তাই বিজ্ঞানীদের আশা , এ বার পুকুরেই ইলিশের প্রজনন করা যাবে৷ আগামী দিনে এ রাজ্যে নদী ও সমুদ্র উপকূলের পুকুরে ইলিশ চাষ হতে চলেছে৷

কাকদ্বীপ গবেষণা কেন্দ্রের প্রকল্প অধিকর্তা দেবাশিস দে বলেন , 'এই সাফল্য ছড়িয়ে দিতে নামখানার দুই চাষির পুকুরে ইলিশ চাষের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ মত্স্য চাষিদেরও ইলিশ চাষে উত্সাহ দেওয়ার নানান পরিকল্পনা নিচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার৷ এ ভাবে ইলিশ চাষ বাড়লেই বাজারে মিলবে পুকুরের ইলিশ৷ ' কাকদ্বীপের ময়নাপাড়ায় সেন্ট্রাল ইনস্টিটিউট অফ ব্যাকিশ ওয়াটার অ্যাকোয়া কালচারে ২০১২ সালের অক্টোবর -নভেম্বর মাস প্রথম পরীক্ষামূলক ভাবে পুকুরে ইলিশ চাষের প্রস্ত্ততি নেওয়া হয়৷ প্রথমে সে ভাবে সাফল্য না এলেও বেশ কিছু পোনা বেঁচে যায়৷ সেই ইলিশ পোনার খাদ্য নিয়েও পরীক্ষা -নিরীক্ষা চলতে থাকে৷ খাবার হিসেবে উদ্ভিদকণা ও প্রাণীকণা দেওয়া হতে থাকে৷ পরে পুকুরে প্রয়োজনীয় খাদ্য তৈরির জন্য ইউরিয়া , সুপারফসফেট , খামারের বর্জ্য সার , সরষের খোল ব্যবহার হতে থাকে৷ জলে ক্ষারের মাত্রা বজায় রাখার জন্য কলিচুন ও ডলোমাইট ব্যবহার করা হচ্ছিল৷ পরে ইলিশের পাকস্থলি ও মাংস পরীক্ষা করে পছন্দের খাবার নির্ধারণ করেন গবেষকরা৷ এখন পুকুরের ইলিশের ওজন চারশো গ্রাম ছাড়িয়েছে৷ প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৩৩০ থেকে ৩৪৫ মিমি৷ আগে জল থেকে তোলার পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে মারা যাচ্ছিল , এখন ট্যাঙ্কে তিন মাস পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে৷ যার ফলে ইলিশ কৃত্রিম প্রজননে সাফল্য পাওয়া গিয়েছে৷ কৃত্রিম প্রজননের সাফল্যকে ভীষণ ভাবে গুরুত্ব দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা৷ পুকুরে চাষ করা ইলিশেও ডিম হয়েছে৷ পাশাপাশি পুরুষ মাছে শুক্রাণু উত্পাদন হচ্ছে৷ বর্তমানে গবেষকদের মূল লক্ষ্য পুকুরে ইলিশের সফল প্রজনন ঘটানো৷ সেই প্রজনন সম্ভব হলে নদীর পোনা ইলিশের উপরে আর ভরসা করতে হবে না৷

কলকাতায় ২৫৪ পদে কর্মী নিয়োগ ২০১৬

কলকাতায় ২৫৪ পদে কর্মী নিয়োগ ২০১৬
যোগ্যতা : মাধ্যমিক পাস 
Download Application Form Here 

SSC Eastern Region, Kolkata- Recruitment 2016

Staff Selection Commission, Eastern Region (SSC ER) Recently Published An Application For The Various Post. All The Eligible And Interested Candidates May Apply Offline Before Or On 26 September 2016 .
Full Job Details
1. Assistant Archivist (General)
2. Data Processing Assistant
3.Duplicating Machine Operator
4. Scientific Assistant (Mechanical)
5. Deputy Ranger
And More
Age Limit : Upto 18 To 30 Years  Old.
Educational Qualification : All The Interested candidates Must Have Complete Their 10th Pass or 12lv Pass Or Graduation.
How To Apply : You have to download application Form

Monday, 29 August 2016

মাফিয়া ডন ‘বস’ -- গ্রেফতার একাদশ শ্রেণির ৬ পড়ুয়া



মুম্বই পাড়ি দিয়েছিল ছেলে। উদ্দেশ্য একটাই— মাফিয়া ডন হবে সে। সেই মতো ধারাভিতে পা রেখে শহরের কুখ্যাত সব দুষ্কৃতীদের সঙ্গে ভাব জমিয়ে তৈরি করে গ্যাং। ক্রমে ‘সুরিয়া’ হয়ে ওঠে মুম্বইয়ের কুখ্যাত ‘গ্যাংস্টার’।
ছবির নাম ‘বস’। ‘সুরিয়া’র চরিত্রে অভিনেতা জিৎ।
সিনেমায় যেমন হয়— তেমনটাই যদি করা যায়! ভাবনাটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল সদ্য মাধ্যমিক পাশ করা ছয় কিশোরের। তারপর তৈরি হল গ্যাং। নাম রাখা হল ‘সুরিয়া এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট’, সিনেমার আদলেই। নিজেদের আসল নাম বললে যদি ধরা পড়ে যায়? তাই ঠিক হল সাংকেতিক নাম। লিডারের নাম হল সূর্য। বাকিরা ব্ল্যাক, ড্যানি, কেকে, হিরা, দ্বীপ।
ফিল্মে মুম্বইয়ের বড় বড় ব্যবসায়ীদের ভয় দেখিয়ে তোলা আদায় করত সুরিয়া। এ ক্ষেত্রেও তার অন্যথা ঘটল না। এলাকার পয়সাওয়ালা লোকেদের বেছে নিল ৬ কিশোর। তার পর ফোন করে, কখনও বা এসএমএস করে টাকা আদায়ের চেষ্টা। কারও কাছে ৫ লাখ তো কারও কাছে ৮ লাখ টাকার দাবি।
ফিল্মি কায়দায় দিব্যি চলছিল গ্যাং। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। শনিবার ছয় পড়ুয়াকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতেরা নাকাশিপাড়ার ‘ড্যানি’ ও ‘সূর্য’, দেবগ্রামের ‘হিরা’, কালীগঞ্জের ‘ব্ল্যাক’, দেবগ্রামের ‘কেকে’ ও ‘দীপ’। ধৃতদের রবিবার কৃষ্ণনগরে এসিজেএম আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের হোমে রাখার নির্দেশ দেন। আজ, সোমবার তাঁদের জুভেনাইল আদালতে হাজির করানো হবে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
সম্প্রতি দেবগ্রামের বিভিন্ন বাসিন্দাদের কাছে টাকা চেয়ে উড়ো ফোন আসছিল। এমনই এক জন গয়নার দোকানের মালিক গৌরব সাহা। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘২ জুলাই থেকে ১১ জুলাই পর্যন্ত, একটা মোবাইল নম্বর থেকে আমাকে নানা রকম হুমকি এসএমএস পাঠানো হচ্ছিল। ৫ লাখ টাকা চাওয়া হয়। প্রথমে ভেবেছিলাম পরিচিত কেউ ঠাট্টা-তামাসা করছে। কিন্তু পরে জানতে পারি, আমাদের পাড়ার এক শিক্ষককেও একই ভাবে ফোন এসএমএস করে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’’ এর পর জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে তিনি দেবগ্রাম পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানান।
হুমকি দেওয়া এসএমএস।
ফোন পেয়েছিলেন দেবগ্রাম স্টেশন পাড়ার বাসিন্দা দেবগ্রামের বিবেকানন্দ বিদ্যাভবনের ইংরেজি শিক্ষক আব্দুর রহিম মোল্লাও। বললেন, “১২ জুলাই বিকেলে আমি স্কুলে ছিলাম। হঠাৎই একটা অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে এসএমএস ফলো করতে বলে। এর পরেই দেখি ৫ লক্ষ টাকা তোলা চাওয়া হয়েছে এসএমএসে।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘হুমকি দেওয়া হয়, টাকা তাদের বলে দেওয়া জায়গায় না রাখলে আমার ছেলেকে অপহরণ করা হবে। ফলে আমরা আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম।’’
এর পরই বিষয়টি নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। শনিবার রাতে গ্রেফতার হয় ৬ পড়ুয়া। ধৃতরা একাদশ শ্রেণির ছাত্র। তাদের মধ্যে ৫ জন বিজ্ঞান নিয়ে পড়ছে। এক জন পড়াশোনা করে ভোকেশনাল কোর্সে। এ দিন জেরার মুখে ধৃতেরা জানায়, জিৎ অভিনীত ‘বস’ দেখেই তারা ঠিক করে, এমন একটা গ্যাং বানালে কেমন হয়। ‘রোজ গ্যাং’ নামে আরও একটি নাম দিয়েছিল তারা। কখনও ‘সুরিয়া এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট’ কখনও বা রোজ গ্যাং, এক-এক সময়, এক-এক নামে তারা লোকজনকে ভয় দেখাতো। কখনও দাবি বড় অঙ্কের টাকা তো কখনও আইফোন। সঙ্গে হুমকি, কথা না শুনলেই অপহরণ কিংবা খুন করা হবে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ‘ড্যানি’ এবং ‘সূর্য’ ছিল গ্যাং লিডার। ধৃতদের মধ্যে কেউ পুলিশের এএসআইয়ের ছেলে, কেউ বা ভুষিমালের ব্যবসায়ীর ছেলে, কেউ আবার আইনজীবীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। তারা পুলিশকে জানিয়েছে, দামি মোটরবাইক, আইফোনের শখ মেটাতেই এই পরিকল্পনা করে তারা। সেই মতো সিনেমার চিত্রনাট্যের কায়দায় ‘সুরিয়া এক্সপোর্ট অ্যান্ড ইমপোর্ট’ খুলে বসে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে ‘ব্ল্যাক’ নিজের বাবার কাছ থেকেও টাকা আদায়ের ছক কষেছিল। সে ক্ষেত্রে বন্ধুরাই অপহরণ করতো ব্ল্যাককে, আর তার পর মুক্তিপণ আদায়। ব্ল্যাককে অপহরণের সেই ব্লু প্রিন্ট এখন পুলিশ হাতে। তা ছাড়াও দু’টি মোবাইল ও একটি সিমকার্ড উদ্ধার হয়েছে। কাগজপত্র ছাড়াই ওই সব সিম কার্ড সংগ্রহ করা হয়েছিল।


স্থানীয়দের দাবি, উড়ো ফোন, এসএমএস, চিঠিতে গত আড়াই মাসে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল দেবগ্রামে। ছয় খুদে দুষ্কৃতী ধরা পড়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে এলাকায়। তিন জনকে হুমকি দেওয়ার বিষয়টি পুলিশের নজরে এলেও, আরও অনেকের কাছেই ফোন গিয়েছিল বলে সন্দেহ পুলিশের। তবে এক বারও তারা সফল হয়েছিল কি না, এখনও সেটা পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। নদিয়ার পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, “আমরা অভিযোগ পাওয়ার পরে তদন্ত নেমে ছ’জনকে গ্রেফতার করেছি। এই কিশোর বয়সে ওরা কেন এই ধরনের কাজে জড়িয়ে পড়ল, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
গোটা ঘটনাটা এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন স্থানীয় শিক্ষক আব্দুর রহিম মোল্লা। বললেন, ‘‘যে ৬ জন স্কুল পড়ুয়া এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে, তাদের মধ্যে কয়েক জন মাঝেমধ্যে আমার কাছে পড়তে আসত। ওরা যে এই কাজ করতে পারে, ভাবতে পারছি না।’’ ধৃতদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, “লোক মুখে বিষয়টা শুনেছি। সোমবার পরিচালন সমিতিতে আলোচনা করে ওদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে স্কুল। তবে আমি চাই, নিজেদের ভুল শুধরে সুস্থ জীবনে ফিরে আসুক ওরা।” তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ ধরনের কাজে নতুন হলেও অনেক দিন ধরেই নানা ধরনের নেশায় হাত পাকিয়েছিল ওই ছ’জন।
‘‘কিন্তু তা বলে খুনের হুমকি দিয়ে টাকা তোলা!’’— এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না ‘সূর্য’দের বন্ধুরা।

এক বছরের বাচ্চার পেটে ৩.৫ কেজির ভ্রূণ, অবাক চিকিত্‍সক



 এক বছরের মেয়ের পেট থেকে বের হল সাড়ে তিন কেজি ওজনের ভ্রূণ। তামিলনাড়ুর এক বেসরকারি হাসপাতালে শিশুকন্যার পাকস্থলীর ভিতর থেকে অপরিণত ভ্রুণটি অস্ত্রোপচার করে বের করা হয়েছে।


শনিবার বিকেলে এক বিরল অস্ত্রোপচারের সাক্ষী থাকলেন মেট্টুপালায়মের শ্রী গণপতি কৃষ্ণ হাসপাতালের চিকিত্‍সকরা। জানা গিয়েছে, ৩.৫ কেজি ওজনের ভ্রূণটি শিশুকন্যার শরীরের রক্ত চলাচল ব্যবস্থা ব্যবহার করে বেড়ে উঠছিল। সেই সঙ্গে শিশুর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের উপর অসহনীয় চাপ তৈরি করছিল।

চিকিত্‍সকরা জানিয়েছেন, নিশা নামে ওই শিশুকন্যার বাবা রাজু পেশায় দিনমজুর এবং মা সুমতি ইরোডের গোবি এলাকার এক প্রাথমিক চিকিত্‍সা কেন্দ্রে কর্মরত। জন্ম থেকেই নিশার পেটটি অন্য শিশুদের তুলনায় বড় আকারের ছিল। তবে তাই নিয়ে রাজু বা সুমতি, কেউ উদ্বিগ্ন ছিলেন না।

হাসপাতালের শিশু শল্যচিকিত্‍সক ডি বিজয়গিরি জানিয়েছেন, 'শিশুটির শ্বাসকষ্ট ও খাওয়ার সমস্যা দেখা দিলে বাবা-মায়ের টনক নড়ে। সেই সঙ্গে তার পেট অতিরিক্ত ফুলে ওঠে। এই কারণে ইরোডের এক চিকিত্‍সকের কাছে নিশাকে নিয়ে যাওয়া হয়।' শিশুর পেটের ভিতর টিউমার রয়েছে সন্দেহ করে গত বৃহস্পতিবার সেই চিকিত্‍সক নিশাকে বিজয়গিরির কাছে রেফার করেন।

ডক্টর বিজয়গিরির কথায়, 'আমিও প্রথমে শিশুর পেটে টিউমার বা সিস্টের উপস্থিতি আন্দাজ করেছিলাম। কিন্তু আল্ট্রাসাউন্ড পরীক্ষায় ধরা পড়ে, পাকস্থলীর ভিতরে থাকা মাংসপিণ্ডের মধ্যে হাড়ের উপস্থিতি রয়েছে। রয়েছে ক্যালসিফায়েড অংশ এবং টেরাটোমার মতো আকৃতি। তাই দেখেই সন্দেহ হয় ওটি ভ্রূণের মধ্যে থাকা ভ্রূণ। ওএই বিষয়ে তাড়াতাড়ি বিশদে জেনে নিই।'

দেরি না করে শনিবার বিকেলেই অস্ত্রোপচার সেরে পেলেন ডক্টর বিজয়গিরি। তিনি জানিয়েছেন, 'মাংসপিণ্ডটি সরানোর পরেই বুঝতে পারি সেটি ভ্রূণ ছাড়া কিছু নয়। তবে প্যাথোলজি পরীক্ষার আগে বলা সম্ভব নয় য়ে তার মধ্যে কী কী অঙ্গ গড়ে উঠেছিল।'

বলা বাহুল্য, অস্ত্রোপচারটি যথেষ্ট জটিল ছিল কারণ অপরিণত ভ্রূণটির সঙ্গে শিশুর বাঁ কিডনিটি যুক্ত ছিল। অগ্ন্যাশয়, প্লীহার একটি অংশ এবং মলাশয়ের সঙ্গেও যোগ ছিল তার। এই কারণে ভ্রূণের সঙ্গে যুক্ত রক্তনালী সরানোর পরে প্রতিটি অঙ্গ সাবধানে তার থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়। ব্রূণটি সরানোর পরে যত্নের সঙ্গে প্রত্যেকটি অঙ্গ ফের শিশুর শরীরে বসানো হয় বলে জানিয়েছেন ডক্টর বিজয়গিরি। জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছে নিশা।

১৫৬ বোমাও ধ্বংস করতে পারেনি শ্রীকৃষ্ণের মন্দির!



১৫৬ বোমাও ধ্বংস করতে পারেনি শ্রীকৃষ্ণের মন্দির!
বিশ্বাস বলে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ রক্ষা করেছিলেন৷ আর বিজ্ঞান বলছে, পাক সেনার ছোড়া গোলার কার্যকারিতা কমে যাওয়ায় রক্ষা পেয়েছিল দ্বারকাধীশ মন্দির৷ বিশ্বাস ও বিজ্ঞান যাই বলুক না কেন জন্মাষ্টমীর দিন এলেই এই যুদ্ধের কথা উঠে আসে দ্বারকার বাসিন্দাদের মধ্যে৷ যে আক্রমণ অনেকেই খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন৷

আরব সাগরের তীরে দ্বারকা৷ সেখানকার রাজা স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ৷ দ্বারকাধিপতি কৃষ্ণ যুগ যুগ ধরে এই শহরের রক্ষাকর্তা৷ এমনই বিশ্বাস রয়েছে স্থানীয় সব ধর্মের মানুষের মধ্যে৷

১৯৬৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর৷ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে চলছে যুদ্ধ৷ আরব সাগরের বুকে দ্বারকা নগরীকে ধ্বংস করতে বিশেষ পরিকল্পনা করেছিল পাকিস্তান নৌ বাহিনী৷ করাচি বন্দর থেকে শুরু হয়েছিল ‘অপারেশন দ্বারকা’৷  অভিযানে অংশ নেয় পিএনএস বাবর, পিএনএস খায়বার, পিএনএস বদর, পিএনএস জাহাঙ্গীর, পিএনএস শাহজাহান, পিএনএস আলমগীর, পিএনএস টিপু সুলতান এই সাতটি জাহাজ৷



দ্বারকার কাছে পৌঁছে অনবরত বোমা ছোড়তে শুরু করে পাকিস্তানি নৌ বাহিনী৷ বিখ্যাত পুরাতাত্ত্বিক স্থাপত্য দ্বারকা মন্দির লক্ষ্য করে অন্তত ১৫৬টি বোমা ছোড়া করা হয়৷ আর প্রতিবারই তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়৷

পরে সেনাবাহিনীর তরফ থেকে রিপোর্ট দেওয়া হয়, মন্দিরের কাছে নরম মাটিতে আছড়ে পড়েছিল বেশিরভাগ পাকিস্তানি রোমা৷ তাই সেগুলি ফোটেনি৷ কয়েকটি বোমার আঘাতে অল্পবিস্তর ক্ষতিগ্রস্ত হয় মন্দিরের কিছু অংশ, স্থানীয় স্টেশন ও কিছু বাড়ি৷ কিন্তু বড়সড় ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে গিয়েছিল দ্বারকা৷

রিপোর্টে বলা হয়েছে, অন্তত ৪০টি বোমার গায়ে ‘ইন্ডিয়ান অর্ডিন্সে’ লেখা ছিল৷ তারিখ ছিল ১৯৪০ সালে ভারত বিভাগেরও আগের৷ বিশ্লেষণে উঠে এসেছে, পুরনো হয়ে যাওয়ার কারণেই তা কার্যকরী হয়নি৷ আর দ্বারকাবাসীর বিশ্বাস বলছে, স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ অদৃশ্য থেকেই তার শহরকে রক্ষা করেছেন৷


দ্বারকা আক্রমণের পেছনে পাকিস্তানের সামরিক কৌশল ছিল আরো বড়৷ বিশেষজ্ঞদের ধারণা, দ্বারকায় ভারতীয় নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে ব্যস্ত রেখে মুম্বাই উপকূলে ভারতীয় জাহাজের উপর আক্রমণের পরিকল্পনা করেছিল পাকিস্তানি নৌ বাহিনী।


এই কাজে নামানো হয়েছিল পাক সাবমেরিন পিএনএস গাজীকে৷ যদিও সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়৷ পাকিস্তানের সামরিক ইতিহাসে পিএনএস গাজী বিশেষ পরিচিত৷ ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে বিশাখাপত্তনমের কাছে এই পাক ডুবোজাহাজটিকে ডুবিয়ে দিতে সক্ষম হয় ভারতীয় নৌ বাহিনী৷

দ্বারকার যুদ্ধে চরম বিব্রত হয়েছিল পাকিস্তান সরকার৷ তড়িঘড়ি পাকিস্তান রেডিও ঘোষণা করে দেয় দ্বারকা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে৷ সেই সংবাদে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র শোরগোল পড়েছিল৷ পরে নিজেদের ব্যর্থ আক্রমণের রিপোর্ট পেয়ে ঢোঁক গিলতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার৷

Saturday, 27 August 2016

বিডিও (BDO) অফিসে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে নিয়োগ

DRDC Jalpaiguri Recruitment 2016 – Accountant & DEO Posts



DRDC Jalpaiguri Recruitment 2016 – Accountant & DEO Posts: District Rural Development Cell, Jalpaiguri has published a notification for the recruitment of Accountant and Data Entry Operator Posts. Eligible candidates are requested to apply in the prescribed application format and send their application form on or before 09.09.2016 up to 04:00 PM. Further details about DRDC Jalpaiguri Recruitment 2016 regarding vacancy details, age limit, essential qualification, selection process, how to apply and others information are given below…

DRDC Jalpaiguri Recruitment 2016

Organization Name: District Rural Development Cell
Official Website: www.jalpaiguri.gov.in
Notification No.: 38/Estt./DRDC
Name of the Post & Vacancy Details:
01. Accountant – 02
a) SC – 01
b) UR – 01
02. Data Entry Operator – 01
a) UR – 01
Number of Total Vacancies: 03 Posts
Qualification: 10th / B.Com
Age Limit: 18 to 40 years
Remuneration: Rs.15425/- & Rs.12411/-
Mode of Application: Offline
Last Date: 09.09.2016

Eligibility Criteria for DRDC Jalpaiguri Recruitment 2016

Age Limit & Relaxtion:
Candidates age limit should be not less than 18 years and not more than 40 years. The upper relaxation of age limit as per Government rules.
Educational Qualification:
Candidates should have completed B.Com Degree with 03 years experience of working for Accountant Post and should have passed Madhyamik (10th Class) or equivalent for Data Entry Operator Post.
Remuneration:
01. Accountant Post: Rs. 15,425/- Per Month
02. Data Entry Operator: Rs. 12,411/- Per Month
How to Apply for DRDC Jalpaiguri Recruitment 2016
Willing and Eligible candidates can apply in the prescribed format which can be downloaded form the DRDC official website “www.jalpaiguri.gov.in” and send their application on or before 09.09.2016 up to 04:00 PM. Candidates should be submitted Self-attested photo copies of 02 passport size colour photographs, 01 envelope of the size of 25 cm. X 11 cm. postal stamp of Rs.40/- with application form. The Application should be sent by post to the following address below.
Office of The Project Director
District Rural Development Cell
Jalpaiguri Zilla Parishad 
Unnayan Bhavan, Shibaji Road
Hakim Para, Jalpaiguri
Pin – 735101
Selection Process:
Candidates will be selected based on their performance in Written Examination Test, Skill Test and Viva-voce Test.
Important Date:
Last Date for Submission of Application: 09.09.2016
Important Link: 
Click Here for Details Recruitment Notification & Application Form
A Disclaimer:
Candidates should carefully read the official notification for detail information, regarding age limit, educational qualification, selection process and how to apply about DRDC Jalpaiguri Recruitment 2016.

ভানুদার 'মাস্টারমোসাই'!




সম্ভবত: সাতের দশক। কলেজ স্ট্রীটের মোড়। কিছু জরুরী বই কিনতে গেছেন অভিনেতা তরুণকুমার। কিংবদন্তী নায়ক উত্তমকুমারের ছোটভাই ও খ্যাতনামা অভিনেতা। এমন সময় দেখেন পূটিরামে দাড়িয়ে 'তিনি'। পাহাড়প্রমান মিষ্টি কিনতে ব্যাস্ত। মুখোমুখি হতেই সেই অনাবিল হাসি।


"আরে বুড়া! যাস কই...?" ঢাকাই তোপ ধেয়ে আসে। তরুণবাবু বলেন। "বই কিনবি! তা বেশ বেশ...তবে তার আগে আমার লগে চ।" তরুণকুমার দেখেন ঘোর বিপদ। কিন্তু উপায় নেই! 'সিনিয়র' আর্টিস্ট ও অগ্রজ বলে কথা। একবার আমতা আমতা করে বলতে গেলেন "আসলে একটু কাজ ছিল যে..."। "ওসব পরে হইবো গিয়া। আমার লগে আয়। মিষ্টির হাড়িটা ল। আজ আমার মাস্টারমোসাই'র জন্মদিন। চল তর লগে আলাপ করামু গিয়া। দেখবি, খুব ভাল মানুষ।" এরপর আর কোন কথা চলেনা। 'তিনি' চলেন আগে আগে, পিছনে বিশালকায় মিষ্টির হাড়ি-প্যাকেট হাতে তরুণকুমার। কলেজ স্ট্রিট, হেদো ছাড়িয়ে বিবেকানন্দ স্ট্রীটের কাছে শীর্ণকায় গলি। তার মধ্যে ততোধিক ক্লিস্ট একটি বাড়ির সামনে দাড়ালেন 'তিনি'।

 সন্ধে নেমেছে শীতের কলকাতায়। চারিদিক বেশ অন্ধকার। ঘরণী এক চিলতে তুলসীতলায় বাতি দিচ্ছেন। শাঁখ বাজছে কোথাও। তরুণবাবু ঠিক ঠাহর করতে পারছেনা যে কোথায় এলেন। একি অদ্ভুত রহস্য! এমন সময় বাড়ির বাইরে থেকেই আকাশবাতাস কাঁপিয়ে আবার 'ঢাকাই' গর্জন-"মাস্টারমোসাইইইই...আইসা পড়সি।" মাতৃসমা সেই মহিলা হেসে বললেন, "ভিতরে যাও বাবা..উনি বসে আছেন।" ভদ্রমহিলাকে প্রণাম করে তরুণকুমারকে সাথে নিয়ে সামনের ঘরে সটান ঢুকে পড়লেন 'তিনি'। 

খুবই অনাড়ম্বর, আটপৌরে ঘর। একটি খাট। তক্তপোষ। টেবিল চেয়ার। জলের কুজো। মশারি। এস্রাজ। এবং সব ছাপিয়ে ঘরভর্তি উপচে পড়া বই'র সাম্রাজ্য। সাদা চাদর জড়ানো এক অভিজাত প্রৌঢ় বসে। অন্ধকারে মুখ ভাল করে দেখতে পাচ্ছিলেননা তরুণবাবু। তখনো অগ্রজের নির্দেশে মিষ্টির হাড়ি হাতে একপায়ে দাড়িয়ে। গৃহিণী আলো নিয়ে ঘরে প্রবেশ করতেই যেন মাটি দুলে উঠলো। তরুণবাবু দেখেন তার সামনে বসে আছেন বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিদ আচার্য সত্যেন্দ্রনাথ বসু। এই তবে তার ভানুদার 'মাস্টারমোসাই'! ততক্ষণে গুরু-শিষ্য সংবাদ শুরু হয়ে গেছে। আচার্য ধীর কন্ঠে তার গৃহিণীকে বললেন "দেখেছো উষা (উষাবতী বসু) কেউ মনে রাখেনি...অথচ সাম্য কিন্তু কোনদিন ভোলেনা।" দিগ্বিদিক কাঁপিয়ে হেসে ওঠেন 'তিনি'। গুরুমা'কে উদ্দেশ্য করে বলেন, "মাসীমা, মালপো খামু...আসে নাকি দুখান?" খুব কম লোকেই জানে ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল নাম সাম্যময় ব্যানার্জি এবং তিনি সত্যেন বসুর পদার্থবিজ্ঞান'র প্রিয় ছাত্রদের অন্যতম।
আমরাও আপনাকে ভুলিনি ভানুবাবু...জন্মদিনের শুভেচ্ছা।



জলের বদলে আকাশ থেকে হীরক-বর্ষণ




শুধু মুখের কথায় নয় | সত্যি সত্যি ধনরত্ন বৃষ্টি হয় | তাও আবার খোদ হিরেবৃষ্টি | বৃষ্টি হলে যেমন জল পড়ে‚ এখানে বৃষ্টি হলে মুঠো মুঠো হিরে বর্ষণ হয় | কোথায় ? জানলে অবশ্য হতাশই হবেন | কারণ দূরত্বটা একটু বেশি | এই হিরে-বৃষ্টি হয় বৃহস্পতি আর শনি গ্রহে ! দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা |
সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানী এবং গবেষক দাবি করেছেন এই দুটি গ্রহে (বিশেষত শনি গ্রহতে ) Methane, Carbon and Lightning -এর সমাহার এর অ্যাটমোস্ফিয়ারে হিরে গঠন করে | হিরের ব্যাস এক সেন্টিমিটার অবধি হতে পারে | তবে কার্বনের উপস্থিতি এবং তার প্রাচুর্যের উপর নির্ভর করে হিরের আয়তন |
একদল মার্কিন বিজ্ঞানী দাবি করছেন‚ পৃথিবীর হিসেবে এক বছরে শনি গ্রহে প্রায় ১০০০ টন হিরে তৈরি হয় | তাঁদের ব্যাখ্যা‚ শনি গ্রহে বায়ুমণ্ডল মূলত হাইড্রোজেন আর হিলিয়াম গ্যাসে পূর্ণ |
যখন ঝড় হয় তখন বজ্রপাতের ফলে মিথেন ডিকম্পোজড হয়ে যায় | বিক্রিয়ায় জন্ম নেয় হাইড্রোজেন আর এলিমেন্টাল কার্বন | এই কার্বন পতিত হয় গ্রহের ভূভাগে | এমন হয়তো হতেও পারে‚ প্রথমে গ্রাফাইটে এবং পরে কার্বন কম্প্রেসড হয় হীরক খণ্ডে |
বিজ্ঞানীরা এই দাবি করেছেন একেবারেই প্রাথমিক ভাবে | এ বিষয়ে আরও গবেষণা চলবে ভবিষ্যতে | তারপরেই নির্দিষ্ট এবং সম্যক ধারনা প্রতিষ্ঠিত হবে | তবে একটি বিষয়ে বিজ্ঞানীরা পুরোপুরি নিশ্চিত‚ হিরে যদি বৃষ্টি হয়ে এখানে পড়েও থাকে‚ তা খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই | কারণ ওই হিরককুচিকে গ্রাস করে নেবে বৃহস্পতি এবং শনি গ্রহের বিশালত্ব |

A blue butterfly



A blue butterfly which, I think, is a silver studded-blue (plebeius argus) rather than a chalkhill, common or adonis blue based on the fact it lacks a black spot on its forewing close to its body which the others apparently have. I saw this yesterday afternoon by the unfortunately named Nicodemus knob on Portland in Dorset where all four types of blue butterflies are found. They have been flying for a couple of weeks now and some are beginning to show signs of bleaching in the sun and rather tatty wings from bird attacks. The local colonies of blues are normally on the wing only from July to late August.
#insect #butterfly #wildlife #nature #photography #wildlifephotography #naturephotography

Wednesday, 24 August 2016

শুভ জন্মাষ্টমী - মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি - শ্রী কৃষ্ণের প্রিয় ১০ খাবার



 
 
আজ শুভ জন্মাষ্টমী: মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি

 
>>> দ্বাপর যুগের সন্ধিক্ষণে আবির্ভূত সনাতন ধর্মের মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আজ শুভ জন্মতিথি।  পৃথিবী থেকে দুরাচারী দুষ্টদের দমন আর সজ্জনদের রক্ষার জন্যই তাদের মহাবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই দিনে স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। পাশবিক শক্তি যখন সত্য সুন্দর ও পবিত্রতাকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছিল, তখন সেই অসুন্দরকে দমন করে জাতিকে রক্ষা এবং শুভ শক্তিকে প্রতিষ্ঠার জন্য ভগবান শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে।
 পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয় তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়।  প্রতি বছর মধ্য আগস্ট থেকে মধ্য সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময়ে পড়ে।


>>> জন্মাষ্টমী প্রসাদে কৃষ্ণের প্রিয় যে ১০ খাবার থাকতেই হবে
শুরু হয়ে গিয়েছে উত্সবের মরসুম -আজ জন্মাষ্টমী। শ্রী কৃষ্ণের জন্মদিন। আর কৃষ্ণের জন্মের অনুষ্ঠান মানেই মহা সমারোহে প্রসাদের আয়োজন। তালের বড়া, মাখন, মিছরি কৃষ্ণের প্রিয় সব খাবারে এ দিন প্রসাদের থালা সাজিয়ে দিতে হবে যে। দেখে নিন কৃষ্ণের পছন্দের এমনই সব খাবার।

ক্ষীর: জন্মদিন কি আর পায়েস ছাড়া হয়?




মাখন মিছরি: ননীচোরা গোপালের জন্মদিনে মাখন তো মুখে তুলে দিতেই হবে। বাড়িতে তৈরি গরুর খাঁটি দুধের মাখনের সঙ্গে মিছরি মিশিয়ে তৈরি করা হয় এই প্রসাদ। এখন বাড়িতে অনেকেই মাখন তৈরি করেন না। ছানা ও চিনি মেখে দেওয়া হয় এই ভোগ।


গোপালকলা: চাল, নারকেল কোরা, ফল মিশিয়ে তৈরি করা হয় এই বিশেষ ভোগ। কৃষ্ণের বাল্য নাম অনুসারে এই ভোগের নাম গোপালকলা।



নাড়ু: নামেই নাড়ু গোপাল। তাই জন্মদিনে মান রাখতে নাড়ু তো দিতেই হবে। ক্ষীরের নাড়ু তাই থাকবেই প্রসাদে।


মোহন ভোগ: ঘি-এ ভাজা সুজির হালুয়া, সঙ্গে লুচি। জন্মাষ্টমীর বিকেলের ভোগে মাস্ট।


মালাই: যদু বংশে জন্ম কৃষ্ণের। মালাই যে তার প্রিয় খাবার হবেই।


তালের বড়া: তাল পাকার সময়ই জন্মেছেন কৃষ্ণ। বছরের এই মোক্ষম সময়ে জন্মে কি
আর তাল ছাড়া কৃষ্ণপুজো হয়? ঘি-এ ভাজা মুচমুচে তালের বড়া কৃষ্ণের পাতে এ দিন দিতেই হবে।


রাবড়ি: দুধ, দই, মাখন মাত্রেই কৃষ্ণের প্রিয় খাবার। পুরী জগন্নাথের ভোগে রোজ দেওয়া হয় সুস্বাদু রাবরি। জন্মদিনের দিনটা কি আর বাদ যাবে?

মালপোয়া: কৃষ্ণের প্রিয় খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম মালপোয়া। জন্মাষ্টমীর প্রসাদে থাকতেই হবে মালপোয়া।


শ্রখণ্ড: আমাদের রাজ্যে এই খাবার বেশি খাওয়া হয় না। কিন্তু ভারতের অন্যান্য রাজ্যে
জন্মাষ্টমীর দিন শ্রখণ্ড কিন্তু চাই-ই-চাই। দই দিয়ে তৈরি অপূর্ব এক খাবার।
 

লিওনার্দোর আঁকিবুকির মাঝেও বিজ্ঞানের সন্ধান পেলেন গবেষকরা









★ শিল্প ঐতিহাসিকরা এতদিন বিখ্যাত শিল্পী লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চির নিজস্ব নোটবুকে আঁকা কিছু হিজিবিজি রেখা বা ডুডলকে অপ্রাসঙ্গিক বলে ঘোষণা করেন। কিন্তু সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাঁদের দাবি, এই ডুডলের মাঝেই পদার্থবিজ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র লুকিয়ে রয়েছে।
ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইয়ান হাচিংস এই পরিত্যক্ত চিত্রকর্ম নিয়ে অনেক বছর গবেষণা করেন। গবেষণাকালে তিনি একটি চিত্রকর্ম বেশ ব্যতিক্রম হিসেবে চিহ্নিত করেন।পরবর্তীতে বিভিন্ন পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, সেখানে মূলত ঘর্ষণের সূত্র ছবির মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। ঘর্ষণ সম্পর্কে বিস্তর গবেষণা ও অধ্যয়নের পথপ্রদর্শক ভিঞ্চি নিজেই। তিনিই সর্বপ্রথম ঘর্ষণ,লুব্রিকেটিং ও বস্ত্র সম্পর্কে গবেষণার সূত্রপাত করেন। তবে তিনি কিভাবে ও কখন এই বিষয়ে ধারণা অর্জন করেন তা এখনও অজ্ঞাত।
হাচিংস প্রকৃতপক্ষে ভিঞ্চির এই নোটবুক সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে প্রাপ্ত তথ্যগুলো একত্রিত করতে সক্ষম হন। হঠাৎ করে এর একটি পাতার হিজিবিজি রেখাগুলোর দিকে তার নজর পড়ে। এই পাতায় ১৪৯৩ সালে লাল রংয়ের চক দিয়ে ভিঞ্চি কিছু একটা আঁকিয়েছিলেন। কিন্তু ১৯২০ সালে এই নোটবুক যে জাদুঘরে সংরক্ষিত ছিল,তার প্রধান পরিচালক এই পাতাটিকে “অপ্রাসঙ্গিক ও অবাঞ্ছিত” বলে আখ্যায়িত করে। এর ফলে সেই পাতাটিকে ভিঞ্চির চিত্রকর্মের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়।
তবে এই পাতার অস্পষ্ট অঙ্কন বিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানীদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। এই পাতার উপরের দিকে একজন বিবর্ণ বৃদ্ধ মহিলার মুখাবয়ব আঁকানো রয়েছে। তার নিচে ফরাসী ভাষায় একটা শ্লোক লেখা আছে। বাংলায় অনুবাদ করলে এর অর্থ দাঁড়ায়, ইহজাগতিক সৌন্দর্য চলে যায় ও বেশিদিন স্থায়ী থাকে না।
পরিত্যক্ত ঘোষণার প্রায় ১০০ বছর পরে হাচিংস এটি নিয়ে পুনরায় গবেষণার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। পরবর্তীতে তিনি আবিষ্কার করেন,ছবিতে লাল চকের সেই লেখাটির নিচে যে অস্পষ্ট জ্যামিতিক প্রতীক রয়েছে,তা একটি বিশেষ অর্থ বহন করে। এতে দেখা যায়,সারিবদ্ধ ব্লককে একটি ওজন বা বস্তু নিজের দিকে টানছে। এই ওজন আবার পুলির সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। বর্তমান সময়ে পদার্থবিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা ঘর্ষণের সূত্র প্রমাণে এই একই ধরনের পরীক্ষা ল্যাবে করে থাকে।
তাই হাচিংস কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন,ভিঞ্চির আঁকা নকশা থেকে বোঝা যায়,তিনি ১৪৯৩ সালেই ঘর্ষণের মৌলিক বিষয়টি ধরতে পেরেছিলেন।ছবি দেখলে বোঝা যায়,তিনি জানতেন,২ টি মসৃণ ও পিচ্ছিল পৃষ্ঠের মাঝে যে ঘর্ষণবল কাজ করে,তা পৃষ্ঠ দুইটির মাঝে বিদ্যমান ওজনের সমানুপাতিক।এক্ষেত্রে ওজন যত বাড়বে,একটি পৃষ্ঠকে অপর পৃষ্ঠের উপর দিয়ে চালানোর সময় তত বেশি ঘর্ষণ বলের প্রয়োজন হবে। তবে এই ঘর্ষণ বল পৃষ্ঠ দুইটির সংযোগকারী ক্ষেত্রের উপর নির্ভরশীল নয়।এটাকেই মূলত “ঘর্ষণের সূত্র” বলা হয়। তবে এই সূত্র আবিষ্কারের কৃতিত্ব প্রদান করা হয় ফ্রান্সের বিজ্ঞানী গুইলাওউমি অ্যামন্টনসকে। তিনি ভিঞ্চির এই চিত্রকর্মের প্রায় ২০০ বছর পরে এই সূত্র নিয়ে গবেষণা শুরু করেন।
এছাড়াও হাচিংস দেখিয়েছেন,কিভাবে পরবর্তীতে দুই দশকে ঘর্ষণের এই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ভিঞ্চি বিভিন্ন জটিল যন্ত্রের নকশা আঁকতেন। দ্যা ভিঞ্চিই সর্বপ্রথম ঘর্ষণবলের উপকারিতা ও এর কার্যকারিতা উপলব্ধি করেন। তিনি এই ধারণা ব্যবহার করেই চাকা,অক্ষরেখা,পুলি ইত্যাদির ধর্ম ব্যাখ্যা করেছেন।
হাচিংসের ভাষায়,ঘর্ষণবল নিয়ে দ্যা ভিঞ্চির ২০ বছরের গবেষণা বিভিন্ন ধরনের যান্ত্রিক পদ্ধতির নকশা প্রণয়নে তাকে আরও দক্ষ করে তুলেছিল। আর তারই সূত্রপাত হয়ত ঘটেছিল এই অস্পষ্ট শিল্পকর্ম থেকে।

Monday, 22 August 2016

পুরনো, ব্যবহৃত স্মার্টফোন বিক্রি করবে Samsung



পুরনো বা রিফার্বিশড ইউজড প্রিমিয়াম স্মার্টফোনগুলি ফের বিক্রি করার পরিকল্পনা করছে স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স৷ সংবাদসংস্থা রয়টার্স সূত্রে এমনটাই খবর৷
দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থাটি এই মুহূর্তে স্মার্টফোন বিক্রির নিরিখে বিশ্বে শীর্ষ স্থানাধিকারী৷ সংস্থাটি চায় তাদের প্রোডাক্টের ‘কস্ট এফিসিয়েন্সি’-কে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে৷ তাই পুরনো, ব্যবহৃত হাই এন্ড স্মার্টফোনগুলিকে ফের গ্রাহকের হাতে তুলে দিয়ে বাজারের বেশিরভাগটাই দখলে রাখতে চায় স্যামসাং৷
এই পরিকল্পনার বিষয়ে সংস্থার কর্তারা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে না চাইলেও রয়টার্স সূত্রে খবর, দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকায় এই নয়া যাত্রা শুরু করতে পারে স্যামসাং৷ পরে ধীরে ধীরে প্রকল্পের সাফল্য খতিয়ে দেখে অন্যান্য দেশেও পুরনো স্মার্টফোন বিক্রির পথে হাঁটতে পারে সংস্থাটি৷
একবছর বা তার চেয়ে বেশি পুরনো ফোন সংস্থাকে ফিরিয়ে দিলে, সেই ফোনগুলিরই ব্যাটারি বা কেসিং বদলে আবার নয়া গ্রাহকদের কাছে কম দামে বিক্রি করবে স্যামসাং৷ সেক্ষেত্রে গ্রাহকদের অবশ্যই জানিয়ে দেওয়া হবে, যে মডেলটি পুরনো ও ব্যবহৃত৷ অন্যদিকে, গ্রাহকরাও অপেক্ষাকৃত কম দামে সংস্থার প্রিমিয়াম মডেলগুলি ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন৷ তবে পুরনো ফোন কিনলে ঠিক কত শতাংশ ছাড় মিলবে সে কথা জানাতে সংস্থার মুখপাত্র অস্বীকার করেছেন৷
এই একই পথে হেঁটে লাভের মুখ দেখেছে অ্যাপল৷  মার্কিন মুলুকে ৯০ ডলারেরও কমে পুরনো আইফোন কিনতে পাওয়া যায়৷ একই পন্থায় ভারতেও পুরনো আইফোন বিক্রির পরিকল্পনা করেছিল অ্যাপল, কিন্তু কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের ছাড়পত্র না পাওয়ায় প্রকল্পটি এখনও বিশ বাঁও জলে৷ এবার স্যামসাংও চাইছে সস্তায় হাই এন্ড হ্যান্ডসেট বিক্রি করে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলা চিনা সংস্থাগুলির চেয়ে প্রতিযোগিতায় কয়েক কদম এগিয়ে থাকতে৷
#India, #iPhones, #RefurbishedSmartphone, #Samsung, Apple