শুধু মুখের কথায় নয় | সত্যি সত্যি ধনরত্ন বৃষ্টি হয় | তাও আবার খোদ হিরেবৃষ্টি | বৃষ্টি হলে যেমন জল পড়ে‚ এখানে বৃষ্টি হলে মুঠো মুঠো হিরে বর্ষণ হয় | কোথায় ? জানলে অবশ্য হতাশই হবেন | কারণ দূরত্বটা একটু বেশি | এই হিরে-বৃষ্টি হয় বৃহস্পতি আর শনি গ্রহে ! দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা |
সম্প্রতি একদল বিজ্ঞানী এবং গবেষক দাবি করেছেন এই দুটি গ্রহে (বিশেষত শনি গ্রহতে ) Methane, Carbon and Lightning -এর সমাহার এর অ্যাটমোস্ফিয়ারে হিরে গঠন করে | হিরের ব্যাস এক সেন্টিমিটার অবধি হতে পারে | তবে কার্বনের উপস্থিতি এবং তার প্রাচুর্যের উপর নির্ভর করে হিরের আয়তন |
একদল মার্কিন বিজ্ঞানী দাবি করছেন‚ পৃথিবীর হিসেবে এক বছরে শনি গ্রহে প্রায় ১০০০ টন হিরে তৈরি হয় | তাঁদের ব্যাখ্যা‚ শনি গ্রহে বায়ুমণ্ডল মূলত হাইড্রোজেন আর হিলিয়াম গ্যাসে পূর্ণ |
যখন ঝড় হয় তখন বজ্রপাতের ফলে মিথেন ডিকম্পোজড হয়ে যায় | বিক্রিয়ায় জন্ম নেয় হাইড্রোজেন আর এলিমেন্টাল কার্বন | এই কার্বন পতিত হয় গ্রহের ভূভাগে | এমন হয়তো হতেও পারে‚ প্রথমে গ্রাফাইটে এবং পরে কার্বন কম্প্রেসড হয় হীরক খণ্ডে |
বিজ্ঞানীরা এই দাবি করেছেন একেবারেই প্রাথমিক ভাবে | এ বিষয়ে আরও গবেষণা চলবে ভবিষ্যতে | তারপরেই নির্দিষ্ট এবং সম্যক ধারনা প্রতিষ্ঠিত হবে | তবে একটি বিষয়ে বিজ্ঞানীরা পুরোপুরি নিশ্চিত‚ হিরে যদি বৃষ্টি হয়ে এখানে পড়েও থাকে‚ তা খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই | কারণ ওই হিরককুচিকে গ্রাস করে নেবে বৃহস্পতি এবং শনি গ্রহের বিশালত্ব |
No comments:
Post a Comment