Sunday, 11 September 2016

তরকারির খোসা ফেলে দেন? এত গুণ জানলে আর ফেলবেন না




কয়েকটা হাতে গোনা ফল আর সব্জি ছাড়া বেশির ভাগ তরি-তরকারির খোসাই ফেলে দিই আমরা। অনেকে আবার সমস্ত সব্জিরই খোসা ছাড়িয়ে খেতে পছন্দ করেন। আসলে অনেকেই জানেন না তরকারির বেশির ভাগ গুণই আসলে লুকিয়ে থাকে তার খোসার মধ্যে।
 কোন  সব্জির খোসায় কী কী গুণ থাকে?  দেখে নেওয়া যাক ...

আপেল: 
আপেলের খোসায় থাকে পেকটিন। এটি এক ধরনের ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্যের 
সমস্যা দূর করে। পাশাপাশি রক্তে সুগার এবং কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমায়। 
আপেলের খোসায় থাকে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা ক্যানসার কোষ নষ্ট করে।



আলু: 
আলুর খোসায় রয়েছে আয়রন এবং পটাসিয়াম। রয়েছে ভিটামিন বি, সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও।



কমলালেবু: 
কমলালেবুর খোসায় থাকে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, রাইবোফ্ল্যাভিন, ক্যালসিয়াম, 
ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম। থাকে ফ্ল্যাভনয়েডসও। যা দেহে আয়রন সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে। 
পাশাপাশি ব্যথা-বেদনার উপশম করে। অ্যান্টি-ক্যানসার উপাদানও থাকে এতে।




শসা: 
শসার খোসায় থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফাইবার, ভিটামিন কে এবং পটাসিয়াম।



বেগুন: 
নাসুনিন নামে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে বেগুনের খোসায়। এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে রয়েছে 
অ্যান্টি-এজিং উপাদান। ফলে বেগুনের খোসা ত্বককে সতেজ রাখে।



আম: 
রেসভারেট্রোলের কাজ করে আমের খোসা— যা ক্যালোরি কমাতে সাহায্য করে। আমের শাঁসের থেকেও 
খোসায় বেশি পরিমাণে ক্যারোটিনয়েড, পলিফেনল, ওমেগা ৩, ওমেগা ৬ এবং 
পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। যা ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখও কমাতে সাহায্য করে।



কলা: 
কলার খোসা বেটে খান অনেকেই। তবে বেশির ভাগই ফেলে দেন। কলার খোসায় থাকে লুটেন, 
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখে। ট্রিপটোফ্যান দেহে সেরোটনিনের মাত্রা 
বাড়াতে সাহায্য করে। সেরোটনিন মুড ভাল রাখতে সাহায্য করে।




লাউ-কুমড়ো: 
প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক থাকে লাউ-কুমড়োর খোসায়। যা ত্বককে সতেজ রাখে।

No comments:

Post a Comment