দিন দুপুরে বেরিয়ে এল রয়েল বেঙ্গল। তবে জীবিত নয় নয় মৃত বাঘের মাথা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ কুলিক ব্রীজের সংলগ্ন এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে একটি বাঘের মাথা পরে থাকতে দেখে চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। এই ঘটনায় বেশ কিছুক্ষণ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। জানা গেছে, আজ বেলা ১ টা নাগাদ রায়গঞ্জ কুলিক ব্রীজের সংলগ্ন এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর একটি বাঘের মাথা পরে থাকতে দেখে পথ চলতি সাধারণ মানুষ। এই খবর জানাজানি হতেই ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে বহু মানুষের ভিড় জমে যায়। খবর দেওয়া হয় রায়গঞ্জ থানার পুলিশকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশ পরে বাঘের মাথাটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ জানিয়েছেন, এই বাঘের মাথাটি কোথা থেকে কিভাবে এল তা তদন্ত করা হচ্ছে। বাঘের মাথাটি বন দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
রায়গঞ্জে ঝোপের ধারে রয়্যাল বেঙ্গলের মাথা।।
আস্ত একটি বাঘের মাথাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য রায়গঞ্জে। আতঙ্কে ঘাম ছুটল মানুষের। সোমবার দুপুরে ঘটনা কুলিকের ধারে। কুলিক ব্রীজের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে ঝোপের আড়ালে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের একটি কাটা মুণ্ডু দেখতে পায় কাগজ কুড়ানি কয়েকটি ছেলে। মুহুর্তেই মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে খবর। দলে দলে মানুষ ছুটতে থাকে বাঘের মাথা দেখতে। কুলিক ব্রীজের কাছে তখন লোকে লোকারণ্য। ভিড়ের ঠেলায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। কিন্তু সাহস কাটা মুণ্ডুতে হাত দেওয়ার সাহস পাচ্ছিলেন না কেউ। হাজার হোক মাথাটা তো বাঘের। আতঙ্কিত মানুষের মনে তখন প্রশ্ন, এখানে রয়্যাল বেঙ্গলের মাথা !? এলো কোথা থেকে? আশেপাশে আর কোনও বাঘ লুকিয়ে মাথা পাহাড়া দিচ্ছে না তো।
এরই মধ্যে সাহসী কয়েকজন মাথাটি হাতে তুলে নাড়াচাড়া করে আবিষ্কার করলেন, মাথাটি সত্যিকার বাঘের নয়। নকল। হাফ ছেড়ে বাঁচলেন সকলেই। কাঠ বোর্ডের তৈরি ওই বাঘের মাথা আদতে ঘর সাজানোর জিনিস।
তবে প্রাথমিকভাবে মাথাটি নকল মনে হলেও শেষ পর্যন্ত সেটি বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে যায় রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। পুলিশের তরফে বিষয়টি জানানো হবে বনদফতরকে। মাথাটি প্রকৃত বাঘের কিনা তা পরীক্ষা করে দেখবেন বন বিভাগের কর্মীরা। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, জমিদারি আমলে বনেদি বাড়িতে বাঘ, সিংহ সহ বিভিন্ন প্রাণীর মাথা দেওয়ালে টাঙানো থাকতো। এটি সেরকমই একটি হলেও হতে পারে।
শিবম মুখার্জী, মাটির খবর।।
No comments:
Post a Comment